Dilip Ghosh: মমতার পোস্টে ‘রিপ্লাই’ দিলীপের, কীসের ইঙ্গিত দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি?

Dilip Ghosh: এখানেই না থেমে বিরোধী দলগুলিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মমতা আরও লিখেছেন, "এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সমস্ত বিরোধী দলগুলির একজোট হওয়া এবং বিজেপির বিভাজনমূলক ও দমন পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি। ভারতবর্ষের সাংবিধানিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হলে, বাংলা চুপ করে থাকবে না।"

Dilip Ghosh: মমতার পোস্টে ‘রিপ্লাই’ দিলীপের, কীসের ইঙ্গিত দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টে কী রিপ্লাই দিলেন দিলীপ ঘোষ?Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jul 08, 2025 | 5:45 PM

কলকাতা: তাঁকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছে। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে তাঁকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন জবাব দিয়েছেন, তাতে ধোঁয়াশা কাটেনি। বরং জল্পনা বেড়েছে। এবার রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দেখা গেল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রিপ্লাই দিতে। মুখ্যমন্ত্রীর কোন পোস্টে কী রিপ্লাই দিলেন দিলীপ?

কোচবিহারের এক বাসিন্দাকে এনআরসি নোটিস পাঠিয়েছে অসম সরকার। কোচবিহারের বাসিন্দা রাজবংশী সম্প্রদায়ের উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে অসমের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল এনআরসি নোটিস পাঠানোয় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে এই নিয়ে তিনি লেখেন, “এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটিই প্রমাণ করে যে অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যেখানে তাদের কোনও ক্ষমতা বা অধিকার নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভয় দেখানো, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া এবং নিশানা করার একটি পূর্বপরিকল্পিত নোংরা চক্রান্ত চলছে। এই অসাংবিধানিক আগ্রাসন জনবিরোধী এবং এটি বিজেপির বিপজ্জনক ষড়যন্ত্রকে দিনের আলোর মত স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, গণতান্ত্রিক সুরক্ষাকে ধ্বংস করে বাংলার মানুষের পরিচয় মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।”

এখানেই না থেমে বিরোধী দলগুলিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মমতা আরও লিখেছেন, “এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সমস্ত বিরোধী দলগুলির একজোট হওয়া এবং বিজেপির বিভাজনমূলক ও দমন পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি। ভারতবর্ষের সাংবিধানিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হলে, বাংলা চুপ করে থাকবে না।”

এক্স হ্যান্ডলে মমতার এই পোস্টেই রিপ্লাই দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে যখন জল্পনা চলছে, তখন মমতার পোস্টে ‘রিপ্লাই’ দিয়ে দিলীপ লিখেছেন, “এনআরসি একটি আইন। মুখ্যমন্ত্রীর যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড না করে প্রশাসনিক পথে এগোন। প্রথমত, সরাসরি অসম সরকারের সঙ্গে কথা বলুন। দ্বিতীয়ত, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ অসমে রয়েছেন। তাই, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত তাদের তথ্যগুলো অসম সরকারকে দেওয়া।” এখানেই না থেমে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি জবাব দেন, “এই রাজ্যের সরকার এই তথ্য দিচ্ছে না বলেই এই সমস্যা হচ্ছে। তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও সমস্যা হলে দায়ী পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জল্পনার মধ্যে এই জবাব দিয়ে দিলীপ নিজের বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন। এদিকে, এদিন বিকেলেই সল্টলেকে বিজেপি দফতরে গিয়ে রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও দেখা করেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ। সেই বৈঠকের পর তিনি জানিয়ে দেন, ২০২৬ সালে বাংলা থেকে তৃণমূলকে ‘সাফ’ করতে শমীকের পাশে রয়েছেন তিনি। অর্থাৎ তাঁর দলবদলের জল্পনার যে কোনও ভিত্তি নেই, সেটা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির। এখন দেখার, এরপর তাঁর দলবদলের জল্পনা থামে কি না।