কলকাতা: বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক আগামী ৭ নভেম্বর। সূত্রের খবর, তার আগে ৬ নভেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের দাবি, শনিবার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন তিনি।
আগামী রবিবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। এই বৈঠক হবে ভার্চুয়ালি। বৈঠকে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সূত্রের খবর, সেখানে এ রাজ্যের ২২ জন বিজেপি নেতার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সিংহভাগ নেতা কলকাতা থেকে যোগ দেবেন। হাতে গোনা কয়েক জনের যোগ দেওয়ার কথা দিল্লি থেকে। তবে তাঁরা কারা, তা এখনও জানা যায়নি।
তবে এরই মধ্যে খবর, বৈঠকের আগের দিনই দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও শুভেন্দুর দিল্লি সফরের কারণ নিয়ে এখনও দলের তরফে কোনও বক্তব্য জানানো হয়নি। তিনি নিজেও এই সফর নিয়ে কিছু বলেননি। তবে সূত্রের খবর, দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে পুরভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কলকাতা ও হাওড়ার ভোট ডিসেম্বরের মধ্যেই করানোর আবেদন জানিয়েছে শাসকদল। তেমনটা হলে হাতে একেবারেই আর সময় নেই। উৎসবের মরসুম কাটতে না কাটতেই ভোট এসে যাবে।
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগে এই নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও আলোচনা শাহ-শুভেন্দুর মধ্যে হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আবার উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে চলতি বিধানসভা অধিবেশনে বিজেপির ভূমিকা কী হবে, তা নিয়েও কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও সম্পূর্ণ বিষয়টিই এখনও অনুমাননির্ভর।
বিধানসভার গত দুই উপনির্বাচনে বিজেপির আশানুরূপ ফল হয়নি। একুশের ভোটে তাও ২০০ লক্ষ্য রেখে ৭৭টা আসন বিজেপি পেয়েছিল। শান্তিপুর ও দিনহাটায় উপনির্বাচনে হারার পর ৭৭ থেকে বাদ পড়ল দুই। আপাতত বিজেপির বিধানসভায় আসন সংখ্যা ৭৫। এর মধ্যে আবার একাধিক বিধায়ক রয়েছেন যাঁরা বিজেপির টিকিটে জিতলেও এখন তৃণমূলে।
বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিনই শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, সকলকে বাবুল সুপ্রিয়র পথেই হাঁটতে হবে। অর্থাৎ দল ছাড়লে ছাড়তে হবে পদও। সেই সব আসনে উপনির্বাচনের কথাও শুনিয়েছেন শুভেন্দু। কিন্তু প্রশ্ন, সেই সমস্ত আসনে উপনির্বাচন হলেও তাতে কি বিজেপির খুব একটা সুবিধা হবে? বিজেপির বঙ্গ নেতাদের একাংশই বলছেন, এই মুহূর্তে দলের ভিতরে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে তথাগত রায়ের মতো বর্ষীয়ান নেতার দলের নেতাদের টিপ্পনি অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিজেপির অন্দরে। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি যাওয়া এবং অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা ঘিরে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।