AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন’, তৃণমূলের ‘সর্বভারতীয়’ তকমাকে খোঁচা তথাগতর

সোশ্যাল মিডিয়াতে রঙ্গ-রসের ঢেউ উঠেছে মুকুলের ঘরে ফেরা নিয়ে। এমনই একটি টুইটের জবাব দিতে গিয়ে এ দিন তৃণমূলের 'সর্বভারতীয়' তকমাকে জোর খোঁচা মেরেছেন তথাগত রায়।

'কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন', তৃণমূলের 'সর্বভারতীয়' তকমাকে খোঁচা তথাগতর
ফাইল ছবি
| Updated on: Jun 11, 2021 | 10:54 PM
Share

কলকাতা: বিজেপিকে বড় ধাক্কা দিয়েই শুক্রবার বিকেলে ঘর ওয়াপসি ঘটিয়েছেন মুকুল রায়। তার প্রত্যাবর্তন যে গেরুয়া শিবিরের জন্য বড় ক্ষতি, সেটা এক বাক্যে স্বীকার করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ। তবে আপাতত মুখে রা কাটছেন না বিজেপি নেতারা। বরং কিছুটা এমন দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে যে, এতে তো বিজেপি বেঁচেই গেল। সোশ্যাল মিডিয়াতে রঙ্গ-রসের ঢেউ উঠেছে মুকুলের ঘরে ফেরা নিয়ে। এমনই একটি টুইটের জবাব দিতে গিয়ে এ দিন তৃণমূলের ‘সর্বভারতীয়’ তকমাকে জোর খোঁচা মেরেছেন তথাগত রায়।

মুকুল দলে ফেরার পর থেকেই একাধিক বিজেপি নেতা দাবি করছেন, মুকুল রায়ের কোনও মতাদর্শ নেই। শুধুমাত্র নিজের স্বার্থেই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন। একই সুর প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের গলাতেও। একটি সংবাদ মাধ্যমের বিতর্কের অনুষ্ঠানে বসে আজ রাজ্যের এই বিজেপি নেতা মন্তব্য করেন, “তৃণমূলের কোনও মতাদর্শ নেই। মুকুল রায়েরও নেই।” তাঁর সেই মন্তব্যকে উদ্ধৃত করেই জনৈক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, “তার মানে বিজেপি একটি মতাদর্শহীন মানুষকে গত সাড়ে তিন বছর দলে রেখেছিল আর দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বানিয়েছিল? এইভাবে নিজের দলের অপমান করছেন তথাগতবাবু?”

সেই টুইটেই পালটা তৃণমূলকে কটাক্ষ করে জবাব দেন তথাগত। তৃণমূলের সর্বভারতীয় তকমাকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “এই সব শিশুসুলভ কথার প্যাঁচ মারার চেষ্টা ছাড়ুন। খাটা পায়খানার বিষয়টা শেষ হয়ে গিয়েছে তো? মুকুল রায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হয়েছিলেন বলে তিনি কি সর্বভারতীয় নেতা হয়ে গিয়েছিলেন? সে রকম কিছুই নয়, এটা কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন গোছের ব্যাপার, যেমন সর্বভারতীয় তৃণমূল।”

আরও পড়ুন: এবার তো ‘এজেন্সি’র টার্গেট হতে পারেন মুকুল! ‘চাণক্য’ কি এতই কাঁচা খেলোয়াড়?

ঘটনা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের দস্তাবেজে তৃণমূল ‘সর্বভারতীয়’ দল হলেও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এই মুহূর্তে সেই অর্থে কোনও সংগঠন নেই ঘাসফুলের। কয়েক বছর আগে যদিও দু-একটি রাজ্যে এক-দুটি বিধানসভা আসন দখলে সক্ষম হয়েছিল বাংলার শাসকদল। তখনই এই তকমা জোটে তৃণমূলের। বর্তমানে সেই হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতেই তৃণমূল নেত্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের সাধারণ সম্পাদক করেছেন। ফিরিয়ে এনেছেন মুকুল রায়কেও। এমনটা মত রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন: বিজেপি থেকে ‘ঝরছে’ মুকুল, অথচ আভাসই পেলেন না ‘জুটি’ কৈলাস