AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

JP Nadda: ‘দিদির বাংলা মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়’, এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন জেপি নাড্ডা

JP Nadda: সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে জেপি নাড্ডা লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের একটি ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো সামনে এসেছে। নৃশংসতায় চরমে। অথচ তৃণমূলের ক্যাডার ও বিধায়করা সেটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছেন। সন্দেশখালি হোক বা উত্তর দিনাজপুর বা অন্য কোনও জায়গা, দিদির পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়।'

JP Nadda: 'দিদির বাংলা মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়', এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন জেপি নাড্ডা
জে পি নাড্ডাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2024 | 11:47 AM
Share

কলকাতা: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার যে ভয়াবহ ঘটনা সামনে এসেছে, গোটা দেশ তার নিন্দায় সরব। এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয় বলে দাবি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার।

সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে জেপি নাড্ডা লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের একটি ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো সামনে এসেছে। নৃশংসতায় চরমে। অথচ তৃণমূলের ক্যাডার ও বিধায়করা সেটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছেন। সন্দেশখালি হোক বা উত্তর দিনাজপুর বা অন্য কোনও জায়গা, দিদির পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়।’

এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। তিনি বলেন, “সন্দেশখালি শাহজাহান দিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর দিল তাজেমুল।” প্রসঙ্গত রবিবার বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেন, চোপড়ার ভিডিয়ো সেটি। ভিডিয়োর সত্যতা টিভিনাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে তাতে যে দৃশ্য দেখা গিয়েছে তা নৃশংস, অমানবিক।

দুই তরুণ তরুণীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার মারছেন এক বিশাল চেহারার যুবক। এক গোছা সরু লাঠি নিয়ে সপাং সপাং করে মেরে চলেছেন ওই তরুণী ও তরুণকে। শরীরের বিভিন্ন অংশে নৃশংসতার দাগ রাখছে লাঠির গোছা। এ যেন তালিবানি শাসন। আশেপাশে গোল করে দাঁড়িয়ে লোকজন। কেউ বাধা দেননি, বদলে দিয়েছেন নীরব সমর্থন। অভিযোগ, ওই তরুণের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তরুণী। তাই ‘শাস্তি’।

এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় ওঠে। কঠোর শাস্তির দাবি ওঠে ওই ষণ্ডামার্কা চেহারার যুবকের। পরে জানা যায় তিনি তাজেমুল হক ওরফে জেসিবি। এমনও অভিযোগ ওঠে, এলাকার বিধায়ক হামিদুল ইসলাম বেশ ভালই চেনেন জেসিবিকে। হামিদুল ইসলাম টিভিনাইন বাংলাকে জানান, “আমার বিধানসভার, চিনব না?”

একইসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করেন বিধায়ক। বলেন, “সমাজকে খারাপ করছিল। তাই গ্রামে সালিশি বসে এটা করেছে। যেটা করে দিয়েছে সেটা একটু বেশি বেশিই করে দিয়েছে। এটা নিয়ে আমরাও দুঃখিত। আর অন্যায় তো মেয়েটাও করেছে। নিজের স্বামী, নিজের সন্তান বাদ দিয়ে দুশ্চরিত্রবান হয়েছে। আমাদের মুসলিম রাষ্ট্রে সামাজিক আচার বিচার হয়েই থাকে।”

এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন অবশ্য বলেন, “চোপড়ায় যা ঘটেছে আমাদের দল, আমাদের সরকার কখনওই তা সমর্থন করে না। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে, ব্যবস্থা নিয়েছে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগকারীকে পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত থাকলে ছাড় পাবে না। তৃণমূল এই ধরনের ঘটনায় জিরো টলারেন্স নীতিতে চলে।”