
কলকাতা: দিন কতক আগে রাজ্য়ের রাজনৈতিক দলগুলিকে বিএলএ-র তালিকা সিইও দফতরে পাঠানোর নির্দেশ দেয় কমিশন, সেই সময়ই প্রশ্ন ওঠে রাজ্য়ের সমস্ত বুথ থেকে কি ‘বিরোধী মুখ’ হিসাবে উঠে আসতে পারবে বিজেপি? দলের রাজ্য নেতৃত্বরা বলেছিলেন, অধিকাংশ বুথে তাদের কমিটি গঠন করা হবে।
সোমবার সেই কাজটাই শেষ হয়েছে বলে খবর বিজেপি সূত্রে। বুথ সশক্তিকরণ কর্মশালায় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৮১ হাজার বুথের মধ্যে ৬৫ হাজার বুথে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫০ হাজার বুথ কমিটি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ হলেও, ১৫ হাজারে বুথ কমিটিতে এখনও ভেরিফিকেশন বাকি। ১ জন করে সভাপতি ও ২ সহযোগী নিয়ে আপাতত ভাবে শুরু হল বিজেপির বুথ কমিটির যাত্রা। কিন্তু বাদ পড়ল কোন এলাকা? সংখ্যালঘু বুথেই কি সাংগঠনিক দুর্বলতা? রাজ্য বিজেপি তা মানছে না। তাদের দাবি, সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। আর সংখ্যালঘু বুথে কমিটি গঠনের কাজ চলছে।
শুধু কমিটি গঠন হলেই তো হবে না। প্রয়োজন সাংগঠনিক জোর তৈরির, প্রয়োজন ভাল পারফরমেন্সের। এবার বুথে বুথে কমিটি গঠনের পর সেই নিয়েই ভাবিত বাংলার গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, আগামী ১৬ থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে বুথ কমিটি সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়াও এই সময়কালেই হবে বাকি ১৫ হাজার বুথে ভেরিফিকেশনের কাজও। আর সেই প্রশিক্ষণের পরেই ‘এন্ট্রি’ নেবে পারফরমেন্স গ্রেড।
এদিনের বুথ কমিটি সংক্রান্ত আয়োজিত কর্মশালায় বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল জানিয়েছেন, সব নেতাদের সব ধরনের কাজের পারফরম্য়ানস কেমন, তা মূল্যায়ন করা হবে। সেই ভিত্তিতেই সকল নেতাদের গ্রেড প্রদান করা হবে। আপাতত বুথ স্তরের আলোচনায় এই কথা উঠে আসলেও, ‘গ্রেড-প্রথার’ ব্যাপ্তি অনেকটাই বলে মনে করছেন বিজেপি একাংশ। বুথ কমিটি তৈরি হয়েছে শীঘ্রই রাজ্য ও জেলা কমিটিও তৈরি হবে। সুতরাং, পারফরম্যান্সের খাঁড়া সেখানেও পড়তে চলেছে বলেই ধারণা একাংশের।