কলকাতা: তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের নিয়ে করে সুজাতা মণ্ডল খাঁ-র বিতর্কিত মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ফের একবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগল বিজেপি। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিজেপি নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, “এর দ্বারাই এই নির্বাচনে প্রমাণ মিলেছে যে তৃণমূল কংগ্রেস এ রাজ্যের মানুষকে কোনও সম্মান দেয় না।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শীতলকুচি সফরে গিয়ে এ দিন বলেছেন, গুলি চালানোর পিছনে যারা প্রকৃত দোষী তাদের শাস্তি দেবেন। কিন্তু তিনি আদৌ ক্ষমতায় ফিরে আসবেন কিনা তা নিয়েই এ দিন প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিজেপি। জয়প্রকাশ মজুমদারকে বলতে শোনা যায়, “আপনি স্বপ্নের বিরিয়ানিতে যত খুশি ঘি ঢালুন। কেননা মমতা আজ পর্যন্ত যত তদন্তের কথা বলেছেন এবং শাস্তি হবে বলে জানিয়েছেন, তার বেশিরভাগই কোনও দিকে গড়ায়নি। শুধু একের পর এক কমিশন গড়েছেন। কিন্তু, কোনও রিপোর্ট আসেনি।”
তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানায় নিয়ে পালটা চ্যালেঞ্জের সুরে জয়প্রকাশ বলেন, “শীতলকুচি নিয়ে তদন্ত হবেই হবে। তবে যখন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, তখন যারা মঞ্চের উপর থেকে উস্কানি দিয়েছিল, তাঁরাও সেই তদন্তের আওতায় আসবে। এটুকু আজ আমরা বলে দিতে চাই।”
আরও পড়ুন: নিজের কেন্দ্রের ভোট মিটতেই ফের ইডির নোটিস হাতে পেলেন পার্থ!
বিজেপির দাবি, “চতুর্থ দফায় শীতলকুচির বুথে খুন হওয়া যুবক আনন্দ বর্মণ বিজেপি না তৃণমূল সেই নিয়ে টানাটানি করা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা কী ধরনের নিম্ন রুচিসম্পন্ন রাজনীতি! একদিকে আনন্দ বর্মণের দাদুকে এনে সভাস্থলে হাজির করাচ্ছেন। ওদিকে তাঁর বাবা-মা বলছেন ছেলে বিজেপি করত বলে মারা গিয়েছে। সেই বাড়ির পরিবারকেও মাননীয়া আলাদা করতে চাইছেন। দয়া করে লাশ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করুন। আপনি সসম্মানে বিদায় নিন।” বিজেপির আরও দাবি, “গান্ধী মূর্তি পাদদেশে মমতা বসেছেন। এটাও তো নির্বাচন কমিশনের আদেশকে অমান্য করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশন যাবো এটা নিয়ে।”
আরও পড়ুন: কোথাও স্রেফ ১, কোথাও ৩, সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালেই বেডের আকাল