AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কোথাও স্রেফ ১, কোথাও ৩, সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালেই বেডের আকাল

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করেও সামলানো যাচ্ছে না করোনা (COVID) আক্রান্ত রোগীদের।

কোথাও স্রেফ ১, কোথাও ৩, সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালেই বেডের আকাল
ফাইল চিত্র
| Updated on: Apr 14, 2021 | 11:27 AM
Share

কলকাতা: ঠিক যেন মড়ক লেগেছে। সারা দেশের করোনা (COVID) পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। একাধিক রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে অক্সিজেন নেই, মধ্য প্রদেশে মৃতদেহ গড়াগড়ি খাচ্ছে। পরিস্থিতি শোচনীয় বাংলারও। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করেও সামলানো যাচ্ছে না করোনা আক্রান্ত রোগীদের। ১৩ এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী, শহরের মোট ২৭০৩টি বেসরকারি হাসপাতালের করোনা বেডের মধ্যে ফাঁকা আছে স্রেফ ৬৯০টি বেড।

বেড নেই মুকুন্দপুরের আমরি হাসপাতালে, চার্নক হাসপাতালে স্রেফ ১টি বেড আছে। সল্টলেকের কলম্বিয়া হাসপাতালে শয্যা শেষ। দিসান হাসপাতালে মাত্র ৩টি বেড আছে। ফর্টিসে ফাঁকা শয্যা নেই। নিউটাউনের টাটা মেডিক্যাল সেন্টারেও কোনও বেড ফাঁকা নেই। বেড নেই আরএসভি, আরএন ট্যাগোর হাসপাতালেও। তবে যেসব বেসরকারি হাসপাতালে ১০-২০টি বেড আছে বলে স্বাস্থ্য দফতর দেখাচ্ছে, তাতেও জলঘোলা হচ্ছে। কারণ বেসরকারি হাসপাতালগুলির একাংশের দাবি, প্রতি হাসপাতালে যে সংখ্যাক করোনা বেড দেখানো হচ্ছে, তা গত বছরের হিসেব অনুযায়ী। এ বছর সেই সংখ্যক বেডই নেই বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে। একই অভিযোগ পূর্বাঞ্চলীয় বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের সভাপতি রূপক বড়ুয়ার।

চলতি সপ্তাহতেই দেশের একাধিক সরকারি হাসপাতালে করোনা বেড ফাঁকা ছিল না। এরপর বেড সংখ্যা বাড়ায় স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যে রোজ যে হারে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে তা ঠেকাতে সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক কোভিড বেড তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই শয্যাও প্রায় সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এমআর বাঙুর হাসপাতালে মাত্র ২২৩টি বেড ফাঁকা আছে। বেলেঘাটা আইডিতে ১৯২টি বেড রয়েছে। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে বেড রয়েছে ৪৫টি। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে বেড আছে ৩১টি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বেড আছে ৪৪টি।

আরও পড়ুন: নিজের কেন্দ্রের ভোট মিটতেই ফের ইডির নোটিস হাতে পেলেন পার্থ!