কলকাতা: দিলীপ ঘোষের (BJP Leader Dilip Ghosh) বাকি রেখে যাওয়া কাজ দিয়েই সংগঠনের হাল ধরতে চান বিজেপির নব নিযুক্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার কলকাতায় পা রেখেই সুকান্ত জানালেন, পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে দিলীপ ঘোষ সফলতম বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর পরামর্শ মেনেই তাই কাজ এগোবেন তিনি।
এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন,”পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে দিলীপদা অন্যতম সফল সভাপতি। দিলীপদা যা করে গিয়েছেন, যেখানে শেষ করেছেন তারপর থেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের চ্যালেঞ্জ। দিলীপদাও আছেন আমাদের সঙ্গে। দিলীপদার মত পরামর্শ নিয়ে তো চলবই। শুভেন্দু অধিকারীও আছেন আমাদের সঙ্গে। বিরোধী দলনেতা উনি। তাঁর পরামর্শ নিয়ে আগামী দিনে ভারতীয় জনতা পার্টি লড়াই করবে। অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্ব তো রয়েছেনই।”
একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানো হচ্ছে বলে জোরাল হয় জল্পনা। বিজেপির অন্দরেই শোনা যাচ্ছিল, নতুন করে বাংলায় দলকে সাজাতে চায় বিজেপি। টাটকা মুখ আনতে চায় তারা। আর এই খোলনলচে বদলের কাজটা শুরু করতে চায় রাজ্যের একেবারে শীর্ষ পদ থেকেই। অর্থাৎ রাজ্য সভাপতি পদে নতুন কাউকে আনতে চায় দল। এ নিয়ে দিল্লিতে নামের লম্বা তালিকা গিয়েছে বলেও শোনা যায়। সেই তালিকাতে সুকান্ত মজুমদারের নামের জল্পনা থাকলেও, সে নামে যে সিলমোহর পড়বে তা বোধহয় দলের অন্দরের অনেকেই ভাবেননি।
যদিও এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “আমি একজন সাংসদ। এখানকার একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে থাকব। এখানে পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে আমাকে কী কাজ দেবে। যাঁরা আমাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করেছেন, তাঁরাও দেশের কোথায় কী কাজ আমি করব তা ঠিক করবেন। দলের সাধারণ কর্মী হিসাবে আমি আছি। পার্টি যা দায়িত্ব দেবে করব। এতদিন সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সারা রাজ্য ঘুরে সংগঠন দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিলাম। পশ্চিমবাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টি সংগঠন হিসাবে দাঁড়িয়েছে। এবারে ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই চলবে।”
নতুন রাজ্য সভাপতি মনোনীত হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালেই উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতা আসেন তিনি। কলকাতা স্টেশনে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরানোই তাঁর প্রথম লক্ষ্য। এ রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে তালিবানি শাসন কায়েম হয়েছে বলে তোপ দাগেন তিনি। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর মঙ্গলবারই বিজেপি রাজ্য দফতরে যাবেন। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে সুকান্ত মজুমদারকে। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থাকবেন সেখানে। তার পর তিনি নির্বাচনী দফতর হেস্টিংসে যাবেন। ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরের নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করবেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন তিনি।
আরও পড়ুন: Lungs Transplant in Kolkata: ফুসফুস প্রতিস্থাপনে ইতিহাস কলকাতায়, ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে যুবক