‘বঙ্গভঙ্গ’ বিতর্কে জন বার্লা ও সৌমিত্র খাঁকে সতর্ক করল বিজেপি

আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা (John Barla) এবং বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ (Soumitra Khan) কে সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এ নিয়ে সৌমিত্র খাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

'বঙ্গভঙ্গ' বিতর্কে জন বার্লা ও সৌমিত্র খাঁকে সতর্ক করল বিজেপি
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 22, 2021 | 11:34 PM

কলকাতা: পৃথক উত্তরবঙ্গ (North Bengal) বা রাঢ়বঙ্গ (Jangal Mahal) নয়। অখণ্ড পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে বিজেপি (BJP)। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা (John Barla) এবং বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ (Soumitra Khan) কে সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এ নিয়ে সৌমিত্র খাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।

আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে। তার মধ্যেই রাঢ়বঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি জানান আর এক বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। উত্তরবঙ্গের পর বাঁকুড়া, পুরুলিয়া- জঙ্গলমহল (Jangal Mahal) নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি জানান সৌমিত্র। এদিকে বঙ্গ বিজেপি পরিষ্কার করে দেয়, তারা অখণ্ড বাংলার পক্ষে। বিজেপি সাংসদদের মন্তব্য তাঁদের ব্যক্তিগত। তা দলের অবস্থান নয়।

এদিনই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, আলাদা রাজ্যের মত ব্যক্তিগত। পার্টির মত হল পশ্চিমবঙ্গ ভাগ হবে না। পার্টিতে থাকতে হলে পার্টির মত মেনেই থাকতে হবে। শ্যামাপ্রসাদের তৈরি পশ্চিমবঙ্গকে তাঁরা ভাঙার পক্ষে নন বলে জানিয়ে দেন দিলীপ।

এর পরেই কেন্দ্রীয় বিজেপিও তাদের অবস্থান জানিয়েছে। সূত্রের খবর, দুই সাংসদের পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্যের দাবিকে তাঁরা ভাল চোখে দেখছেন না। এ নিয়ে বার্লা ও সৌমিত্র দু’জনকেই দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

এখন দিল্লিতেই রয়েছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁকে বুধবার জেপি নাড্ডা তলব করেছেন বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ, দুই সাংসদ এবং তাঁদের স্বপক্ষে যে বিধায়ক ও নেতারা পৃথক বঙ্গের দাবি তুলছেন, তাঁদের প্রত্যেককে দলের তরফে সাবধান করা হচ্ছে।

এদিকে মঙ্গলবার রাতেও হাত হাত ঠুকে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ বলেছেন তিনি পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে অটল থাকবেন। এদিন রাতে জন বার্লার বাড়িতে আশ্রয় নিতে ছুটে আসেন কুমারগ্রামের ৯ বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য এবং প্রধান। অভিযোগ, তৃণমূলের তরফে নির্যাতন করা হচ্ছে। এমনকি কুমারগ্রাম থানার আইসি সাহেব স্বয়ং ফোন করে তাঁদের তৃণমূলে যোগ দিতে বলছেন। বারবার চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে তৃণমূলে যোগদানের জন্য। না হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বার্লার বাড়িতে আশ্রয় নিলেন ৯ পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধান, সাংসদ বললেন, ‘এ জন্যই পৃথক উত্তরবঙ্গ চাই’ 

যার প্রেক্ষিতে বার্লা বলেন, এই অত্যাচার থেকে মুক্তির জন্যই তিনি পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি করছেন। এবং আগামীতে সেই দাবি দিল্লি পৌঁছে দেবেন। তার আগেই এদিন দিল্লি থেকে তাঁদের কাছে অবস্থান জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।