
কলকাতা: সকাল থেকেই CEO দফতরের সামনে তুমুল উত্তেজনা! এক বেনজির দৃশ্য। ‘তৃণমূলপন্থী’ বিএলও-দের একাংশ স্মারকলিপি জমা দিতে যান CEO দফতরে। আর সে সময়েই পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী CEO দফতরে যান বিজেপি বিধায়করা। চলতে থাকে স্লোগান, পাল্টা স্লোগান! প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় ফেজে আরও তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ-স্মারকলিপি পেশের পর দ্বিতীয় ফেজে আরও তপ্ত হয়ে পরিস্থিতি। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন বিএলও-রা। পাল্টা বিএলও-দের উদ্দেশে হাত উঁচিয়ে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকেন। এক বেনজির দৃশ্য ধরা পড়ে CEO দফতরের সামনে।
সোমবার সকাল থেকেই CEO-দফতরের বাইরে পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিএলও-রা স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য জমায়েত করতে থাকেন। তাঁদের দাবি, মৃত বিএলও-দের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এসআইআর-এর সময়সীমা সাত দিন নয়, ২ মাস বাড়াতে হবে। আগে থেকেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সে সময়ে CEO দফতরের সামনে আসতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিএলওরা। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হতে থাকে। পুলিশের ব্যারিকেড দেয়। ব্যারিকেড টপকে উঠে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিএলওরা।
ওই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই ভিতরে প্রবেশ করেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরে তখনও বিক্ষোভ চলছে। ভিতরে ঘণ্টা দেড়েক ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। সেখানে ফেসবুক লাইভও করেন। ২৬, ২৭ ও ২৮ নভেম্বরের এন্ট্রি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ওই তিনদিনের প্রত্যেকটা এন্ট্রি পর্যবেক্ষকদের দিয়ে অডিট করাতে হবে। আধুনিক ব্যবস্থা ব্যবহার করে করতে হবে অডিট।
এরপর বাইরে যখন বেরিয়ে আসে, তখন আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুভেন্দুকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন বিএলও-রা। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে গাড়িতে ওঠেন। গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে হাত উঁচিয়ে পাল্টা ‘চোর চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন শুভেন্দু। ভিড়-তপ্ত পরিস্থিতি তখন সামলাতে ব্যস্ত পুলিশ। এভাবে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে বিএলও-দের উদ্দেশে স্লোগান দেওয়া, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তা নজিরবিহীন। দিনভর CEO- দফতর এক বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল।