কলকাতা : কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে ম্যানহোল বিষাক্ত গ্যাসে মৃত পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিকের নিথর কফিনবন্দি দেহ ফিরল রাজ্যে। মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দর এসে পৌঁছায় মৃত পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ। কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরতে পরিযায়াী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে ম্যানহোলে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের। মৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। মৃতদের মধ্যে ওমর ফারুক ও সামিউল ইসলামের বাড়ি ফাজিলপুর এলাকায়। নিজামুদ্দিন সাহাজি আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুরের বাসিন্দা । সরাফত আলি ও মিরাজউল ইসলাম দেগঙ্গা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দোগাছিয়ার বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে খবর, গত আট মাস আগে কর্ণাটকের দক্ষিণ কান্নাড়া জেলায় ভাজপে থানার অন্তর্গত এলাকায় দিনমজুরের কাজ করতে গিয়েছিলেন ওই পাঁচ যুবক। তাঁরা ওইখানে এক মাছের কোম্পানিতে প্যাকেজিংয়ের কাজ করতেন। গত রবিবার বিকেলে সেখানে একটি ম্যানহোলে ড্রেন পরিস্কার করতে নেমেছিলেন একজন। তখনই ভিতরে বিষাক্ত গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়। বন্ধুকে উপরে উঠতে না দেখে নেমে যান অন্যান্য শ্রমিকরাও। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাঁরা সবাই জ্ঞান হারান। এরপর তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে রবিবার রাতেই তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে সোমবার সকালে বাকি দুই জনও প্রাণ হারান।
এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কর্ণাটক থেকে তাঁদের নিথর কফিনবন্দি দেহ আজ কলকাতায় এসে পৌঁছায়। পরিবারের লোকজনের হাতে সেই দেহ তুলে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, ঘটনার পরই মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য। মৃতদের পরিবার পিছু দুই লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথাও বলা হয়েছে নবান্ন থেকে। মৃত পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর সময় পরিবারের সঙ্গে হাজির ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন : BGBS Preparation: বসেছে ২৮০০ টনের এসি, শিল্প সম্মেলনকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে মরিয়া রাজ্য