AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bratya Basu on Kuntal: ‘দালালের বাড়িতে OMR শিট মিললে দায় সরকারের নয়’, কুন্তল ইস্যুতে জবাব ব্রাত্যর

Bratya Basu on Kuntal: সম্প্রতি নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় ওএমআর শিট।

Bratya Basu on Kuntal: 'দালালের বাড়িতে OMR শিট মিললে দায় সরকারের নয়', কুন্তল ইস্যুতে জবাব ব্রাত্যর
সাংবাদিকদের মুখোমুখি ব্রাত্য
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2023 | 4:59 PM
Share

কলকাতা : কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) বাড়িতে ২০২২-এর টেট পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট উদ্ধার হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে উত্তরপত্র উদ্ধার হওয়ায় প্রাথমিক টেট (Primary TET) নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন ওঠে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মমালায় যখন কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করছে, তখন এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল! এই ঘটনায় সরকারের কোনও দায় নেই বলে সাফ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রাথমিক টেটের ফল প্রকাশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে  ব্রাত্য বলেন, ‘আপনি যদি ওএমআর শিটের কপি দালালের বাড়িতে দিয়ে আসেন, তার দায় সরকারের নয়।’ তাহলে কুন্তলকেই কি ‘দালাল’ বললেন ব্রাত্য? সে জবাব স্পষ্ট না হলেও এটুকু স্পষ্ট যে নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতার যুক্ত থাকার দায় কোনওভাবেই নেবে না রাজ্য তথা শিক্ষা দফতর।

শুক্রবারই প্রকাশিত হয়েছে প্রাথমিক টেটের ফল। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে এই টেট পরীক্ষা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। এদিন ব্রাত্য বসু জানান, টেট পরীক্ষায় যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা রাজ্যের ইতিহাসে প্রথম। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, এক শ্রেণির মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পরীক্ষা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল। তারপরও পর্ষদ স্বচ্ছভাবে ফল প্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এত স্বচ্ছতা সত্ত্বেও কুন্তলের বাড়িতে ওএমআর শিট উদ্ধার হল কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বলেন। পর্ষদ পরীক্ষা নিয়েছে। পর্ষদের কাছে উত্তরপত্রের একটা কপি আছে। পরীক্ষার্থীর কাছে একটা কপি আছে। আপনি যদি সেই উত্তরপত্র কোনও দালালকে দেন, তার দায় সরকারের নয়। দালালের খপ্পরে পড়ার দায় আপনারও। মেধা ও যোগ্যতার ওপর আস্থা রাখুন। পর্ষদের নিরপেক্ষতার ওপর আস্থা রাখুন।

এদিন কুন্তলের ফেক ওয়েবসাইটের প্রশ্নও উঠে আসে। তদন্তে উঠে এসেছে, যাঁরা টাকা দিতেন কুন্তল, তাঁদের নাম একটি ওয়েবসাইটে উঠে যেত। সেগুলি ভুয়ো ওয়েবসাইট বলেই দাবি পর্ষদের। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানান, তিনি এসে ভুয়ো ওয়েবসাইট সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। এই ধরনের ওয়েবসাইটের দায়ও যে সরকারের নয়, সেটাও স্পষ্ট করে  দেন ব্রাত্য।