CV Ananda Bose: ব্রিগেড যেন কুরুক্ষেত্র, জয়দ্রথের উদাহরণ টেনে বোস বললেন, ‘হাতিয়ার আছে, শত্রুও আছে, বাংলা প্রস্তুতও আছে’
Governor of Bengal: মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনের প্রতিজ্ঞা ছিল যে তিনি সূর্যাস্তের আগে জয়দ্রথকে বধ করবেন, নইলে আগুনে পুড়বেন। শ্রীকৃষ্ণের কৌশলে সূর্য ঢাকা পড়ায় জয়দ্রথ মনে করে সূর্যাস্ত হয়েছে, কিন্তু কৃষ্ণের মায়া কাটলে অর্জুন তার শিরচ্ছেদ করেন, যা জয়দ্রথের মাথার খুলি বহু দূরে গিয়ে তার পিতার কোলে পড়েছিল। এদিন সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করেন রাজ্য়পাল।

কলকাতা: ‘কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আর একবার।’ ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে দিকে দিকে দেখা গেল এই পোস্টার। ডাক উঠল হিন্দুদের এক হওয়ার। সাধু-সন্ত, রাজনৈতিক শিবিরের রথী-মহারথীদের মাঝে হঠাৎ দেখা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তাঁর কথায় উঠে এল রায়মন থেকে গীতার প্রসঙ্গ। শুধু তাই নয় এদিন ফের রাজ্যপাল মনে করে করালেন শ্রীকৃষ্ণ-অর্জুনের সমীকরণের কথা। কীভাবে মহাভারতের সেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে সঠিক পথ দেখিয়েছিলেন সেই গল্পও শোনালেন।
মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনের প্রতিজ্ঞা ছিল যে তিনি সূর্যাস্তের আগে জয়দ্রথকে বধ করবেন, নইলে আগুনে পুড়বেন। শ্রীকৃষ্ণের কৌশলে সূর্য ঢাকা পড়ায় জয়দ্রথ মনে করে সূর্যাস্ত হয়েছে, কিন্তু কৃষ্ণের মায়া কাটলে অর্জুন তার শিরচ্ছেদ করেন, যা জয়দ্রথের মাথার খুলি বহু দূরে গিয়ে তার পিতার কোলে পড়েছিল। সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করে রাজ্যপাল বলেন, “শ্রীকৃষ্ণ বারবার অর্জুনকে বলেছিলেন কর্ম করে যাও অর্জুন। আর আজ বাংলা কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সূর্য আমাদের উপরে আছে। হাতিয়ার আমাদের সঙ্গে আছে। শত্রুরাও আমাদের সামনে আছে। বাংলা ধর্মের আস্ফালনকে শেষ করার জন্যও প্রস্তুত আছে।”
আপাতভাবে রাজ্যপালের এ বক্তব্য অরাজনৈতিক মনে হলেও এর পিছনে গভীর রাজনৈতিক তাৎপর্য, গূঢ় রাজনৈতিক প্রজ্ঞা রয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আজকের বাংলার আবহে মহাভারতের অবতারণা কী সত্য়িই রূপক? যদি তাই হয় তাহলে এখানে কেই বা শ্রীকৃষ্ণ, কেই বা অর্জুন সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যপাল বলছেন হাতিয়ার তৈরি আছে, শত্রুও রয়েছে। এ ক্ষেত্রেই বা ইঙ্গিত কোনদিকে সেই প্রশ্ন থাকছে।
