কলকাতা: উপনির্বাচন নিয়ে এবার মুখ্য়সচিবের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে তেমনটাই খবর। রাজ্যে উপনির্বাচন এই মুহূর্তে আদৌ কি সম্ভব? এই মুহূর্তে রাজ্যের কী অবস্থা, করোনার হাল কেমন, এখন উপনির্বাচন করা গেলে কী ভাবে তা করা যাবে? অক্টোবর-নভেম্বর উৎসবের মরসুম, সে পরিস্থিতিতে কীভাবে উপনির্বাচন হতে পারে, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বুধবার সেই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে নির্বাচন সদন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে থাকার কথা কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল উমেশ সিনহার। থাকার কথা উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন, চন্দ্রভূষণ কুমারেরও। থাকতে পারেন আরও দুই উপনির্বাচন কমিশনার ধর্মেন্দ্র শর্মা, নীতিশ কুমার ভ্যাস-সহ অন্য আধিকারিকও।
কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সমীক্ষা করে চলতি মাসের শেষে বা সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিতে পারে কমিশন। অক্টোবরে পা রাখার আগেই পাঁচ কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং দুই কেন্দ্রের নির্বাচন সেরে ফেলা হতে পারে। বাংলার করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে মোটের উপর নিয়ন্ত্রণে বলেই দাবি করেছে রাজ্য সরকার। যদি রাতারাতি পরিস্থিতি বদল না হয়, তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পাঁচ আসনে উপনির্বাচন এবং দুই আসনে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন সেরে ফেলতে চায় কমিশন।
একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে ২ মে। ২৯৩ আসনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। অন্য দিকে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। ভোট হওয়ার আগেই জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী ও সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী মারা যাওয়ায় এই দুই আসনে বিধানসভা ভোট বাকি রয়েছে। ভবানীপুরে জয়ী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দিনহাটায় জয়ী নিশীথ প্রামাণিক এবং শান্তিপুরে জয়ী জগন্নাথ সরকার ইস্তফা দেওয়ায় এই তিনটি আসনে উপনির্বাচন হবে। অন্যদিকে গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর ও খড়দহে জয়ী প্রার্থী কাজল সিনহা মারা যাওয়ায় এই দুই কেন্দ্রেও ভোট করাতে হবে।
এই ভোট করানো নিয়ে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করেছে এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, বাংলায় এখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এই সময় ভোট করিয়ে নেওয়াই ভাল। অন্যদিকে বিজেপি কিছুতেই এখন ভোট করাতে নারাজ। বেশ কয়েকটি কারও দেখিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি চলছে বলে রাজ্য সরকার লোকাল ট্রেন বন্ধ করে রেখেছে। বাসও চলছে কম। একাধিক বিধি নিষেধ এখনও বলবৎ রাজ্যে। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। অক্টোবর মাস মানেই পুজো ও উৎসবের মাস। এই সময় ভোট করালে সমস্যায় পড়তে হতে পারে রাজ্যবাসীকে। তাই আপাতত উপনির্বাচনে সায় নেই বিজেপির। আরও পড়ুন: কাঁখে ঘট, হাতে পদ্ম, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম জমা নিচ্ছেন স্বয়ং লক্ষ্মী…