সল্টলেকে দুয়ারে সরকার শিবিরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ফর্ম জমা নেওয়া চলছে। সেই ফর্ম জমা নেওয়ার এক অভিনব ছবি দেখা গেল বিধাননগর পুর নিগমের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে।
সল্টলেকের দত্তাবাদ এলাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার শিবির খোলা হয়েছে সোমবার। সেখানে দেখা গেল এক মহিলাকে লক্ষ্মীর সাজে বসানো হয়েছে একটি চেয়ারে। মহিলারা ফর্ম পূরণ করে সেই 'মর্ত্যের লক্ষ্মী'র হাতে তুলে দিচ্ছেন ফর্ম। মা লক্ষ্মী আশীর্বাদ দিয়ে সেই প্রকল্পের ফর্ম জমা নিচ্ছেন। পাশে থাকা স্বেচ্ছা সেবকদের হাতে তা তুলে দিচ্ছেন তিনি।
বিধাননগর পুরনিগমের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর নির্মল দত্ত। তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত এই অভিনব পরিকল্পনা। নির্মল দত্তের কথায়, রাজ্যজুড়ে তৃণমূল সরকার ঘরের লক্ষ্মীদের জন্য লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। সর্বত্র ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পকে আরেকটু সাজিয়ে তুলতে এখানে মা লক্ষ্মী স্বয়ং এসেছেন। তিনিই ফর্ম জমা নিচ্ছেন।
বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে চলছে দুয়ারে সরকার। কিন্তু, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকেই। তবে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেতে গেলে থাকতে হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্য জাতিভুক্ত হলে সেই জাতির শংসাপত্র। যদি সেই শংসাপত্র কারোর না থাকে, তা তৎক্ষণাৎ তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে নবান্নর পক্ষ থেকে।
তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তপসিলি ও আদিবাসীদের মাসে ১০০০ টাকা এবং জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে হাত খরচ দেওয়া হবে।