Exclusive: ‘নীলাঞ্জনা’ মোটেই ধার করা গান নয়, সিধুর দাবি উড়িয়ে দিলেন নচিকেতা

Nachiketa Chakraborty: সাল ১৯৯৪, গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর কণ্ঠে এই গানগুলি তখন দুরন্ত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সকলের মুখে মুখে। প্রাণ ঢেলে গাইছেন তিনি, মুগ্ধ হয়ে শুনছেন হাজার হাজার শ্রোতাবন্ধুরা। আটের দশকের শেষ থেকে নয়ের দশকের প্রজন্মের কাছে এই গানগুলো যেন নস্ট্যালজিয়া।

Exclusive: 'নীলাঞ্জনা' মোটেই ধার করা গান নয়, সিধুর দাবি উড়িয়ে দিলেন নচিকেতা
Image Credit source: FACEBOOK, TV9Bangla GRAPHICS
Follow Us:
| Updated on: Jan 08, 2025 | 4:46 PM

জয়িতা চন্দ্র

প্রেম নিবেদন থেকে প্রেমে ভাঙন, ঠোঁটে তখন শুধুই নচিকেতা চক্রবর্তী। কখনও “রাজশ্রী তোমার জন্য…”, কখনও আবার “তখন উদাস মন, ভোলে মনোরঞ্জন, দাম দিয়ে যন্ত্রণা কিনতে চায়…।” স্বপ্নের নীলাঞ্জনাকে তখন এই কলিতেই প্রেমের যন্ত্রণার কথা জানাতে মরিয়া তরুণ সমাজ। সাল ১৯৯৪, গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর কণ্ঠে এই গানগুলি তখন দুরন্ত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সকলের মুখে মুখে। প্রাণ ঢেলে গাইছেন তিনি, মুগ্ধ হয়ে শুনছেন হাজার হাজার শ্রোতাবন্ধুরা। আটের দশকের শেষ থেকে নয়ের দশকের প্রজন্মের কাছে এই গানগুলো যেন নস্ট্যালজিয়া। যার পরতে-পরতে জড়িয়ে রয়েছে স্কুল জীবনের পাওয়া-না-পাওয়া প্রেমের গল্প। সেই গল্পর ঠিকুজি কুষ্ঠি নিয়ে এবার হাজির সিধু। অভিনেতা সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের পডকাস্ট চ্যানেলে এসে এই বিষয় মুখ খোলেন ক্যাকটাস খ্যাত সিধু। তাঁর নিজের গান হলুদ পাখি এক অন্য গানের সুরে অনুপ্রাণিত, ঠিক যেমন নচিকেতার নীলাঞ্জনা (১), রাজশ্রী।

এদিন সঞ্চালক সৌরভ, সিধুকে প্রশ্ন করেন, “নচিকেতার অধিকাংশ গানই অরিজিন্যাল কম্পোজিশন, নচিকেতার গান আপনাকে অনুপ্রাণিত করত? তাঁর দুই-একটা গান অনুপ্রাণিত হলেও বেশিরভাগটাই আমার মনে হতো তাঁর নিজের।” উত্তরে সিধু বলেন, “দুই-একটার বেশিই হবে, রাজশ্রী যেমন অনুপ্রাণিত। নীলাঞ্জনা (১) বাংলাদেশী ব্যান্ড ফিডব্যাক-এর ‘দিন যায় দিন চলে যায়’-এর দ্বারা অনুপ্রাণিত। ক্যাকটাসের যদি হলুদ পাখি হয়, নচিদার তেমনই নীলাঞ্জনা। একটা মানুষের জীবনের সবথেকে বড় হিট বাংলাদেশী গানের থেকে অনুপ্রাণিত। নীলাঞ্জনা (৩)-ও তাই। অঞ্জন দত্ত কি সুর নেননি! তিনিও নিয়েছেন। আমার একটা সুর ভাল লাগতেই পারে, মনে হতে পারে আমি এটা নিয়ে কাজ করতেই পারি। মন থেকে কটা বাংলা লাইন চলে এল। তাতে কোনও অসুবিধে নেই। সেটা স্বীকার করে নেওয়ার মধ্যে কোনও দুর্বলতা নেই। বরং এটা ভাবমূর্তিকে অনেকটা স্বচ্ছ করতে পারে।”

সিধু মন্তব্যকে একেবারে উড়িয়ে না দিয়ে TV9 বাংলাকে নচিকেতা একই সুরে বলেন, “নীলাঞ্জনা গানটা একটা সুর থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। গানটা একটা প্রগ্রেশন থেকে অনুপ্রাণিত। ডা-রা-রা-ডা-রা-রা…, এই অংশটা। ওয়েস্টার্ন মিউজিকের একটা প্রগ্রেশন। বাংলাদেশের ব্যান্ড ফিডব্যাকও সেটা নিয়েছিল সেখান থেকেই। আমার আগে ওরা ওটা নিয়েছিল। ওটা বহু মানুষ ব্যবহার করেছে। প্রীতমও ওটা ব্যবহার করেছে। নীলাঞ্জনা আমার জীবনের অনুপ্রেরণা। বরং রাজশ্রী গানটা আপনি বলতে পারেন আমি মিশরিয় একটি গানের থেকে নিয়েছি। এইচএমভি থেকেই আমায় ওটা নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছি। আরও গান রয়েছে আমার যেটা অন্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত, যেমন, নীলাঞ্জনা (৩) একটা ইউরোপিয়ান গান থেকে নেওয়া। অনেকদিন আগে বন্দনা বলে একটা ছবিতে লতা মঙ্গেশকরও এই কম্পোজিশনে একটি গান গেয়েছিলেন। আরও অনেক গান। তবে নীলাঞ্জনা নয় কিন্তু। ওটা একটা ‘ফ্রেজ’, যেটা নেওয়া হয়েছিল।”