Calcutta High Court: গারদে জীবনকৃষ্ণ, আদালতের নির্দেশে এবার ভাঙা হবে বড়ঞায় বেআইনিভাবে নির্মিত কার্যালয়
Calcutta High Court: পূর্ত দফতরের কোপের মুখে বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা দলীয় কার্যালয়। তাঁর বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা দলীয় কার্যালয়ের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, সরকারি জমি দখল করে গজিয়ে ওঠা নির্মাণ ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে পূর্ত দফতরের কোনও বাধা নেই।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এবার পূর্ত দফতরের কোপের মুখে বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা দলীয় কার্যালয়। তাঁর বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা দলীয় কার্যালয়ের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, সরকারি জমি দখল করে গজিয়ে ওঠা নির্মাণ ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে পূর্ত দফতরের কোনও বাধা নেই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।
মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের আফ্রিকা মোড় সংলগ্ন এলাকায় ২০২১ সালে নির্মাণ হওয়া এই ভবনটি বিধায়ক কার্যালয় তথা তৃণমূল ভবন নামেই পরিচিত ছিল। তবে ভবনটি নির্মাণ হওয়ার পরই স্থানীয় এক বাসিন্দা এই ভবনটি সরকারি জায়গায় রয়েছে বলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গত বছর ডিসেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের নির্দেশ মতোই ভবনটি ভাঙার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি শুরু হয়। তবে ভবনটি ভাঙতে গিয়েই প্রশাসন ও পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় পূর্ত দফতরকে। এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় ডিভিশন বেঞ্চে। এবার ডিভিশন বেঞ্চও দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। সোমবার বিচারপতি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ, সেখানকার অন্য কয়েকটি প্লটের বিতর্কিত নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিলেও, বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের ওই দলীয় কার্যালয় ভাঙার ক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে।
বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে গত এপ্রিল মাসে হানা দেয় সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর যোগসাজশের অভিযোগ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে হাতে আসা তথ্য প্রমাণও আদালতে পেশ করেছেন গোয়েন্দারা। জীবনকৃষ্ণ আপাতত সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন।