Calcutta High Court Chaos: হাইকোর্টেও ‘কালা দিবস’! প্রতিবাদ নিয়ে বিভক্ত রাজ্য় বার কাউন্সিল
Calcutta High Court Chaos: যদিও 'কালা দিবস' পালন নিয়ে দু-ভাগে বিভক্ত রাজ্য বার কাউন্সিল। সমর্থনে না কংগ্রেস আইনজীবী সেলের।
কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাস বয়কটের জের। রবিবারই রাজ্যে এসেছে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা। জানা গিয়েছে, তাঁরা কলকাতা হাইকোর্ট যাবেন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস ঘুরে দেখবেন। এদিকে, রাজ্য বার কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোমবার কালো ব্যাজ় পরবেন আইনজীবীরা। কেন আইনজীবীরা আন্দোলন করতে পারবেন না, তার বিরুদ্ধে এই কালো ব্যাজ়। আর এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে বিতর্ক তুঙ্গে। একইসঙ্গে রাজ্য বার কাউন্সিলের সঙ্গে কথা না বলে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা কোথাও যেতে পারবেন না বলে দাবি তোলেন তাঁরা। এই মর্মে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে চিঠিও করেছে রাজ্য বার। যদিও ‘কালা দিবস’ পালন নিয়ে দু-ভাগে বিভক্ত রাজ্য বার কাউন্সিল। সমর্থনে না কংগ্রেস আইনজীবী সেলের। কালা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হয়নি। অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি রাজ্য বারের তিন আইনজীবীর।
অভিযোগ, রাজ্য বার কাউন্সিলের সব সদস্যকে না জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চেয়ারম্যান। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি করেছেন রাজ্য বার কাউন্সিলের তিন কার্যকরী কমিটির সদস্য। তাঁদের বক্তব্য,’কালা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হয়নি। রাজ্য বার কাউন্সিলের সব সদস্যকে না জানিয়েই কালা দিবস পালনের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রাজ্য বার কাউন্সিলের নেই। বার কাউন্সিলের নাম ব্যবহার করে স্বেচ্ছাচারিতা করা হয়েছে বলেও দাবি তোলেন তাঁরা।
রাজ্যে আসা বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ৩ সদস্যের দলের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, কোনও আলোচনা ছাড়াই কেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন। আন্দোলনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে কালো ব্যাজ় পরে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। কালাদিবসের প্রতিবাদ ঘিরেই তুঙ্গে তরজা।
প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে অচলাবস্থা তৈরি হয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট করেছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। পোস্টারও পড়েছিল হাইকোর্ট ও বিচারপতির বাসভবনের সামনেও। নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। জানা গিয়েছে, দিল্লির কয়েকজন আইনজীবী ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এজলাস বয়কট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিশৃঙ্খলা নিয়ে বার কাউন্সিলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। এরপরই বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া প্রতিনিধি দল পাছানোর সিদ্ধান্ত নেয়।