Rosevalley: ‘কেন্দ্রকে অনুমতি দিতে হবে’,রোজভ্যালি-কাণ্ডে নির্দেশ হাইকোর্টের
Kolkata: এখানে উল্লেখ্য, রোজভ্যালি চিটফান্ড-কাণ্ডে প্রতারিত আমানতকারীদের আমানত ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য হাইকোর্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। কমিটির নাম 'বিচারপতি দিলীপ শেঠ কমিটি'। তবে, সেই কমিটির বিরুদ্ধেই পরবর্তীকালে ওঠে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ।

কলকাতা: রোজভ্যালির আর্থিক বেনিয়মের তদন্ত করতে হবে সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টেগেশন অফিস বা SFIO-কেই। আর সেই কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘মিনিস্ট্রি অফ কর্পোরেট এফেয়ার্স’ মন্ত্রককে অনুমতি দিতে হবে। তার কারণ, SFIO সরাসরি ওই মন্ত্রকের অধীন। আর এই তদন্তের নির্দেশ আজ লিখিতভাবে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, যেহেতু এর আগে SFIO আদালতকে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি পেলে তাদের এই ফরেন্সিক অডিট করতে বাধা নেই। তাই হাইকোর্টের নির্দেশ, কেন্দ্রকে এই ব্যাপারে অনুমতি দিতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য, রোজভ্যালি চিটফান্ড-কাণ্ডে প্রতারিত আমানতকারীদের আমানত ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য হাইকোর্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। কমিটির নাম ‘বিচারপতি দিলীপ শেঠ কমিটি’। তবে, সেই কমিটির বিরুদ্ধেই পরবর্তীকালে ওঠে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। এরপর এই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ফরেনসিক অডিট করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেবিকে। মূলত, রোজভ্যালির ১০টি সম্পত্তি বিক্রি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দিতে সেবি-কে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তাতে বলা হয়, বাজারদরের তুলনায় কত বেশি বা কম দামে সম্পত্তি বিক্রি হয়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট তুলে পেশ করতে হবে।
একইসঙ্গে ‘চকোলেট গোষ্ঠী’ (রোজভ্য়ালির পরবর্তী রূপ। নাম পরিবর্তন করে চকোলেট গ্রুপ অব হোটেলস-র ব্য়বসা শুরু করেছিল তারা)। কীভাবে এডিসি কমিটিকে অর্থ তুলে দেয়, সেই প্রসঙ্গেও সেবিকে হিসাবনিকেশ তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সেবি পরবর্তী হাত গুটিয়ে নেয়। আজ তদন্ত লিখিতভাবে কোর্ট জানায় এবার তদন্ত করবে SFIO।
