কলকাতা: অনুমতি দেয়নি পুলিশ। মিছিলের জন্য অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে বিজেপির সেই মিছিলের অনুমতি দিল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ওই মিছিলে উপস্থিত থাকবেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামিকাল তমলুকের রাজবাড়ি ময়দান থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। মিছিলের জন্য একাধিক শর্তও বেঁধে দিল হাইকোর্ট।
এদিন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামিকাল দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। একহাজার লোক নিয়ে মিছিলের অনুমতি দিলেন বিচারপতি। একইসঙ্গে তাঁর নির্দেশ, স্কুল চত্বরে নীরবতা বজায় রাখতে হবে। উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা যাবে না। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে হবে।
যে জায়গায় অশান্তির প্রতিবাদে এই মিছিল হচ্ছে, সেখানে গত ১৫ মার্চ গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন হাইকোর্টে রাজ্য সওয়াল করে, অশান্তির ঘটনায় কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তমলুকের রাজবাড়ি ময়দান থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত করতে চায় বিজেপি। তবে নিমতলা থেকে তালপুকুর পর্যন্ত মিছিল করার বিকল্প প্রস্তাব দেয় রাজ্য। হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, বিজেপির প্রস্তাবিত রুটে মসজিদ আছে, নমাজ হয়। প্রশাসনিক ভবন আছে। আদালত আছে। সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে।
রাজ্যের সওয়াল শুনে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেন, “আমি যখন আর আর অ্যাভিনিউ দিয়ে যাই, তখন দেখতে পাই যে কারা কারা নিয়মিত অনুমতি পাচ্ছেন মিছিলের।
রাজ্য আরও সওয়াল করে, মিছিল বিকেল ৩টায় কেন? সন্ধ্যা ৭টায় করুন। সকাল ৯টায় করুন। একইসঙ্গে রাজ্যের প্রশ্ন, মিছিলের উদ্দেশ্য কী? মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করা?
তখন বিজেপির আইনজীবী বলেন, একঘণ্টা সময় দিন। মিছিল শেষ হয়ে যাবে। যার পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “কার হয়ে এই মুচলেকা দিচ্ছেন ? যিনি আদালত থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে ঘুরছেন, আর যা ইচ্ছা বলে বেড়াচ্ছেন।” তখন বিজেপির আইনজীবী বলেন, “রাজ্য মিথ্যা মামলা দিলে আদালত তো রক্ষাকবচ দেবেই।”
দুই পক্ষের সওয়ালের পর মিছিলের অনুমতি দেন বিচারপতি ঘোষ। তবে একাধিক শর্ত বেঁধে দেন তিনি।