Abhijit Sarkar Murder Case : অভিজিৎ খুনের মামলায় চার্জ গঠনে ৪ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
Abhijit Sarkar Murder Case : অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় চার্জ গঠনে চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট একইসঙ্গে সিবিআইকে এই খুনের তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কলকাতা : ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় খুন হয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির অভিজিৎ সরকার। সেই মামলা বিচারাধীন শিয়ালদহ আদালতে। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার চার্জ গঠন হবে জানিয়েছিল শিয়ালদহ আদালত। কিন্তু সেই তদন্তে সন্তুষ্ট ছিলেন না অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। তাই চার্জ গঠন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অভিজিতের দাদা। অভিজিতের পরিবারের সেই আবেদনে মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় চার্জ গঠনে চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট একইসঙ্গে সিবিআইকে এই খুনের তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অভিজিতের দাদা জানিয়েছেন যে, কলকাতা পুলিশের প্রথম চার্জশিটে পরেশ পাল, স্বপন সমাদ্দারের নাম ছিল। কিন্তু সিবিআইয়ের চার্জশিটে তাঁদের নাম নেই। এমনকি তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। তাই তদন্তে অখুশি ছিল অভিজিতের পরিবার। অভিজিতের পরিবার জানিয়েছে যে, অভিজিৎ সরকার খুনে কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বড় বড় রাঘব-বোয়ালদেরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অভিজিৎ সরকারের খুনে অভিযুক্তদের নামে পুরস্কার ঘোষণা করেছে সিবিআই। অভিযুক্তদের ধরে দিতে পারলেই ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে। শিয়ালদহ আদালতের নির্দেশের পর অভিযুক্তদের নাম ও ছবি-সহ এই পুরস্কার ঘোষণার বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে সিবিআই। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন এবং লিফলেট বিলি মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভোট গণনার পরের দিনই মৃত্যু হয় বেলেঘাটার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। গলায় তার পেঁচানো উদ্ধার হয় অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ। তাঁর পরিবার প্রথম থেকেই দাবি তোলে, বিজেপি করার অপরাধে অভিজিৎকে খুন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে নিহতের পরিবার। তদন্তের স্বার্থে তাঁর দেহ সৎকার করা হয়নি। ১৩৬ দিন পর সৎকারের অনুমতি পায় পরিবার।
সিবিআই তদন্ত ভার নেওয়ার পর থেকেই এই ঘটনায় একাধিকবার অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। কখনও বিশ্বজিতের বাড়িতে গিয়েছেন তাঁরা। কখনও আবার নিজাম প্যালেস কিংবা সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছেন বিশ্বজিৎ নিজে। অভিজিতের মায়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়। দীর্ঘ কয়েক মাস লাশকাটা ঘরে পড়েছিল অভিজিতের দেহ। শেষে ডিএনএ রিপোর্টে দেখে ভাইয়ের শ্রাদ্ধের ব্যবস্থা করেছেন দাদা। সেপ্টেম্বরে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়। সেপ্টেম্বরেই চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Chinese Manja: হেলমেটের কাচ ফাটিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্ত বের দিল চিনা সুতো