Rakesh Singh : নিউ আলিপুর মাদক মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের জামিন মঞ্জুর হাইকোর্টে
New Alipore Drug Case: আবেদনকারীর ব্যক্তির কাছ থেকে বা আবেদনকারীর সঙ্গে জড়িত কোনও জায়গা থেকেও এমন কোনও মাদক উদ্ধার করা যায়নি বলেও জানিয়েছে আদালত।
কলকাতা : মাদক মামলায় গ্রেফতার বিজেপি যুব মোর্চার নেতা রাকেশ সিংয়ের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। মাদক উদ্ধারের মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। বিজেপি যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামীর গাড়ি থেকে ৭৬ গ্রাম কোকেন উদ্ধার হয়েছিল। পামেলার গ্রেফতারির পর সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার হয়েছিল রাকেশ সিং।
আলিপুরের বিশেষ আদালতে মাদক আইনে গ্রেফতার রাকেশ সিংয়ের মামলা চলছে। সেই মামলায় জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাকেশ সিং। আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকে ডিভিশন বেঞ্চে এই জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, “বর্তমান মামলার বাস্তবতা, রেকর্ডে থাকা উপাদানের মূল্যায়নের ভিত্তিতে, আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করি যে আবেদনকারী তার বিরুদ্ধে যে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, তা তিনি করেননি। ”
কলকাতা হাইকোর্ট অবশ্য এও জানিয়েছে, নিষিদ্ধ ড্রাগ এবং সাইকোট্রপিক পদার্থের অবৈধ পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই কড়া হাতে মোকাবিলা করতে হবে। এতে কোনও সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না। তবে এই মামলা জামিনের আবেদন খারিজ করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে আরও উল্লেখ করেছে, আবেদনকারীর সঙ্গে কোনওরকম নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়নি। আবেদনকারীর ব্যক্তির কাছ থেকে বা আবেদনকারীর সঙ্গে জড়িত কোনও জায়গা থেকেও এমন কোনও মাদক উদ্ধার করা যায়নি বলেও জানিয়েছে আদালত।
এদিকে অন্য অভিযুক্ত প্রবীর, সোমনাথ এবং পামেলার কাছ থেকে কোকেন পাওয়া হয়েছিল। তবে চার্জশিটে তাদের নাম ছিল না। এই বিষয়টিও উল্লেখ করে হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, চার্জশিটে পামেলাদের নাম নেই। বরং উল্লেখ করা হয়েছে, পামেলা, সোমনাথ এবং প্রবীর যে গাড়িটি করে যাচ্ছিল, সেই গাড়িতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মাদক রেখে দিয়েছিল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই তাদের সমস্যায় ফেলতে এমনটা করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।
উল্লেখ্য, রাকেশের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থারও অভিযোগ এনেছিলেন পামেলা। এর আগে পামেলা অভিযোগ তুলেছিল, “আমার ক্লোজ লোকদের ও মার্ডার করিয়ে দেবে। হুমকি দিচ্ছিল। আমার রাকেশ সিংয়ের ওপর অভিযোগ। থানার ওসি অমিত শঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। সে যখন আমার ওপর টর্চার করে, তখন থানায় অভিযোগ করতে যাই। তখন থেকেই আমাকে বিভিন্ন রকমের কন্সপিরেসিতে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। আমাকে ফাঁসানো হত, আগে থেকে জানতাম। আমার কাছে তথ্য আছে। ভয়েস এভিডেন্স আছে। রাজেশ লোক পাঠিয়েছিল আমার গাড়িতে মাদর রাখার জন্য।”
আরও পড়ুন : Biplab Deb: আগরতলা পুরভোটের আগেই বিপ্লব দেবের ওএসডিকে তলব করল কলকাতা পুলিশ