কলকাতা: ছ’ থেকে আট দফায় বাকি পুরভোট চায় রাজ্য। এ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর আগে রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এপ্রিল মাসের মধ্যেই বকেয়া পুরভোট তারা সেরে ফেলতে চায়। বেশ কয়েকটি দফায় তারা ভোট করতে ইচ্ছুক। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে হলফনামা আদালতে পেশ করেছে, সেখানে পরিষ্কার করে উল্লেখ করা হয়েছে কেন এতগুলি দফাতে ভোট করাতে চাইছে তারা।
মুখ্য কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি। একই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আইনজীবী আদালতকে জানান, তাঁরা ইতিমধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির ভোট করানোর জন্য যে প্রক্রিয়া তা শুরু করে দিয়েছে। মে মাসের মধ্য সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেন কমিশনের আইনজীবী।
যদিও এই বক্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তিনি বলেন, ‘একবার বলছেন এপ্রিল, আবার বলছেন মে মাস। কাল আবার কী বলবেন?’ মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।
এ রাজ্যে পুরসভা ও পুরনিগম মিলিয়ে মিশিয়ে রয়েছে ১২৫টি। এর মধ্যে ১১৮টি পুরসভা, ৭টি পুরনিগম। সর্ববৃহৎ পুরনিগম কলকাতা। ১৪৪টি ওয়ার্ড। রাজ্য সরকার প্রথমেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল তারা কলকাতা ও হাওড়ায় আগে ভোট চায়। ১৯ ডিসেম্বর সেই ভোটের আর্জি জানিয়েছিল শাসকদল। যদিও সেই দাবিতে সিলমোহর পড়েনি। কলকাতায় ১৯ তারিখ ভোট হলেও, হাওড়ায় আপাতত ভোট নয়।
কিন্তু এতগুলো পুরসভায় ভোট বাকি থাকলেও শুধুমাত্র একটিতে কেন ভোট হচ্ছে তা নিয়ে বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হয়। কেন সবক’টি পুরসভায় একসঙ্গে ভোট হবে না তা জানতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। সেই মামলার শুনানিতে আদালত রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছিল।
গত ২৬ নভেম্বর মামলার শুনানি চলাকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল বা এজি জানান, বকেয়া পুরভোট সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে লিখিত দেওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বকেয়া সমস্ত পুরভোট হবে। কলকাতা বাদ দিলে ১১১টি পুরভোট বাকি রয়েছে। সেগুলি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে হবে। তবে দফায় দফায় এই নির্বাচন করা হবে।
একই সঙ্গে এর আগে কমিশনের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, “একসঙ্গে সব ভোট করানো সম্ভব নয়। কোভিড ছাড়াও অন্য সমস্যা আছে। ইভিএমের ঘাটতি আছে।” সোমবারের হলফনামায় সে সংক্রান্ত বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়। হলফনামায় তারা জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৫৬৮৭টি ইভিএম আছে। কলকাতার ভোটে ৭২১০ টি ইভিএম ব্যবহার হবে।
আরও পড়ুন: SSC Recruitment: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় সিট গঠন হাইকোর্টের
আরও পড়ুন: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় সিট গঠন হাইকোর্টের
কলকাতা: ছ’ থেকে আট দফায় বাকি পুরভোট চায় রাজ্য। এ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর আগে রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এপ্রিল মাসের মধ্যেই বকেয়া পুরভোট তারা সেরে ফেলতে চায়। বেশ কয়েকটি দফায় তারা ভোট করতে ইচ্ছুক। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে হলফনামা আদালতে পেশ করেছে, সেখানে পরিষ্কার করে উল্লেখ করা হয়েছে কেন এতগুলি দফাতে ভোট করাতে চাইছে তারা।
মুখ্য কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি। একই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আইনজীবী আদালতকে জানান, তাঁরা ইতিমধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির ভোট করানোর জন্য যে প্রক্রিয়া তা শুরু করে দিয়েছে। মে মাসের মধ্য সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেন কমিশনের আইনজীবী।
যদিও এই বক্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তিনি বলেন, ‘একবার বলছেন এপ্রিল, আবার বলছেন মে মাস। কাল আবার কী বলবেন?’ মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।
এ রাজ্যে পুরসভা ও পুরনিগম মিলিয়ে মিশিয়ে রয়েছে ১২৫টি। এর মধ্যে ১১৮টি পুরসভা, ৭টি পুরনিগম। সর্ববৃহৎ পুরনিগম কলকাতা। ১৪৪টি ওয়ার্ড। রাজ্য সরকার প্রথমেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল তারা কলকাতা ও হাওড়ায় আগে ভোট চায়। ১৯ ডিসেম্বর সেই ভোটের আর্জি জানিয়েছিল শাসকদল। যদিও সেই দাবিতে সিলমোহর পড়েনি। কলকাতায় ১৯ তারিখ ভোট হলেও, হাওড়ায় আপাতত ভোট নয়।
কিন্তু এতগুলো পুরসভায় ভোট বাকি থাকলেও শুধুমাত্র একটিতে কেন ভোট হচ্ছে তা নিয়ে বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হয়। কেন সবক’টি পুরসভায় একসঙ্গে ভোট হবে না তা জানতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। সেই মামলার শুনানিতে আদালত রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছিল।
গত ২৬ নভেম্বর মামলার শুনানি চলাকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল বা এজি জানান, বকেয়া পুরভোট সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে লিখিত দেওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বকেয়া সমস্ত পুরভোট হবে। কলকাতা বাদ দিলে ১১১টি পুরভোট বাকি রয়েছে। সেগুলি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে হবে। তবে দফায় দফায় এই নির্বাচন করা হবে।
একই সঙ্গে এর আগে কমিশনের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, “একসঙ্গে সব ভোট করানো সম্ভব নয়। কোভিড ছাড়াও অন্য সমস্যা আছে। ইভিএমের ঘাটতি আছে।” সোমবারের হলফনামায় সে সংক্রান্ত বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়। হলফনামায় তারা জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৫৬৮৭টি ইভিএম আছে। কলকাতার ভোটে ৭২১০ টি ইভিএম ব্যবহার হবে।
আরও পড়ুন: SSC Recruitment: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় সিট গঠন হাইকোর্টের
আরও পড়ুন: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় সিট গঠন হাইকোর্টের