AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: রাজ্যের মৌখিক আবেদনেই আধ ঘণ্টার মধ্যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ

Calcutta High Court: চলতি বছরেই মে মাসে NEET পরীক্ষা দিয়েছিলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা ইতিশা সোরেন। গত জুলাই মাসে ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। ইতিশার র‌্যাঙ্ক ছিল ২৮৩১৯। তাঁর অভিযোগ ছিল, প্রথম কাউন্সেলিং ও দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পরেও তিনি সরকারি কলেজে পড়ার সুযোগ পাননি।

Calcutta High Court: রাজ্যের মৌখিক আবেদনেই আধ ঘণ্টার মধ্যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ
কলকাতা হাইকোর্ট। Image Credit: Calcutta High Court Website
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2024 | 2:48 PM
Share

কলকাতা:  আধ ঘণ্টাও পেরল না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিতে বেনিয়মের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেলা একটায় এই নির্দেশ দেন তিনি। এরপরই রাজ্যের তরফে এজি বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এজি-র বক্তব্য ছিল, সিঙ্গল বেঞ্চের শুনানিতে রাজ্যের কোনও কথাই শোনা হয়নি। রাজ্য এজলাসে বেশ কিছু তথ্য দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি সেই তথ্য সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই মামলায় সিবিআইকে যুক্ত করতে হবে। আর সেই নির্দেশনামা দুপুর আড়াইটার মধ্যে সিবিআইকে দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেন তিনি। এই বিষয়টিতেও আপত্তি ছিল রাজ্যের। ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ। ২.৩০-র মধ্যে নথি তুলে দেওয়ার নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি।

মামলার প্রেক্ষাপট

চলতি বছরেই মে মাসে NEET পরীক্ষা দিয়েছিলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা ইতিশা সোরেন। গত জুলাই মাসে ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। ইতিশার র‌্যাঙ্ক ছিল ২৮৩১৯। তাঁর অভিযোগ ছিল, প্রথম কাউন্সেলিং ও দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পরেও তিনি সরকারি কলেজে পড়ার সুযোগ পাননি। তাঁর বক্তব্য, তপশিলি উপজাতিভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও তিনি ভর্তি হতে পারলেন না। অথচ অনেকেই ভুয়ো  জাতিগত শংসাপত্র কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।

সেই মামলার শুনানিতে আগেই রাজ্যের কাছে জবাব চেয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  ডিরেক্টর অব মেডিক্যাল এডুকেশন দেবাশিস ভট্টাচার্যকেও তলব করা হয়। গত শুনানি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তফশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত পড়ুয়াদের শংসাপত্রের প্রতিলিপি আদালতে জমা করতে বলেছিলেন। বিচারপতি জানিয়েছিলেন, যদিও তাঁদের কারোর শংসাপত্রে বেনিয়ম ধরা পড়ে, তাহলে অবিলম্বে সরকারি কলেজে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে হবে। এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।