
কলকাতা: কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিহা? মুর্শিদাবাদ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সংঘর্ষ মামলার শুনানিতে বিরক্তি প্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চের। আদালতের প্রশ্ন, দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কেন অনিহা প্রকাশ করা হচ্ছে? দুর্গাপুজোয় সাহায্য করতে সমস্যা নেই আর এমন ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ক্ষতিপূরণ দিতে সমস্যা? মন্তব্য বিচারপতি সৌমেন সেনের।
প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় তেতে ওঠা মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে অশান্তির আঁচ। প্রচুর বাড়ি-ঘর-স্থাপত্য ভাঙচুর হয়। একাধিক জনের মৃত্য়ুর খবরও আসে। সেই ঘটনায় এনআইএ-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে হাইকোর্টে। বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে র বক্তব্য, হাইকোর্ট এই মামলায় বারেবারে বলার পরেও NIA তদন্ত হাতে নিতে এগিয়ে আসেনি।
NIA মনে করলে তদন্ত নিতে পারে বলে আগেই নির্দেশ ছিল। তারপরেও সেটা কর্যকরি হয়নি, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সৌমেন সেনের। বিচারপতি সেনের বক্তব্য, “এখানে রাজ্যের তদন্তে অনেক ত্রুটি আছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। NIA র সাহায্য নেওয়া যেমন হয়নি, তেমন তারাও এগিয়ে আসেনি। ”
রাজ্যের তরফ থেকে এদিন সওয়াল করেন শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “চার্জশিট পেশ হয়েছে। নতুন কোন ঘটনাও ঘটেনি। ১০৯ মোট কেস রুজু হয়।” ক্ষতিগ্রস্তদের তরফে আদালতে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তিনিই ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আদালতকে জানান। ক্ষতিপূরণের রিপোর্টের বিষয়ে রাজ্য জানায়, “আলাদা করে এখনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। ভ্যালুয়েশন জানা সম্ভব হয়নি, তাই দেওয়া সম্ভব হয়নি।”
তখন বিচারপতি সৌমেন সেন প্রশ্ন করেন, “দুর্গাপুজোয় পুনর্বাসন দেওয়া যায় আর এখানে ক্ষতিপূরণ দিতে পারছেন না?” আপাতত অন্তর্বতী নির্দেশ বহাল রেখেছে । ক্ষতিপূরণের বিষয় রাজ্য জানাবে। আগামী শুনানিতে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। ২০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি।