Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: বেতন দেওয়া হল ‘হায়ার স্কেলে’, আর পেনশনেই বিভ্রাট! শিক্ষককে অবিলম্বে সব টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

Calcutta High Court: রাজ্যের আইনজীবী ভাস্কর প্রসাদ বৈশ্য আদালতে জানান, জেলা পর্যবেক্ষক নতুন স্কেলে টাকা দেওয়ার অনুমতি দেননি। কারণ প্রশ্ন ওঠে, স্কুল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই ওই শিক্ষককে রেগুলার কোর্সে কীভাবে স্নাতকোত্তর করার অনুমতি দেওয়া হল?

Calcutta High Court: বেতন দেওয়া হল 'হায়ার স্কেলে', আর পেনশনেই বিভ্রাট! শিক্ষককে অবিলম্বে সব টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2025 | 1:23 PM

কলকাতা: যে স্কেলে বেতন দেওয়া হল, সেই স্কেলে পেনশন পাচ্ছেন না! এমনই অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। অবশেষে মিলল স্বস্তি।

বর্ধমানের দধিয়া গোপালদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল কালাম আজাদ। বিকম পাশ করে ওই স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে ‘গ্র‍্যাজুয়েট’ হিসেবে স্কুলে চাকরি শুরু করেন। পরে ওই স্কুলে বাংলায় শূন্যপদ থাকায় তাঁকে বাংলা পড়ানোর দায়িত্ব দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

বাংলা পড়ানোর জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলায় স্নাতকোত্তর পাশ করেন আব্দুল। তাঁর অভিযোগ, অবসরের আগে অর্থাৎ ২০১৫ সাল পর্যন্ত পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েট হিসেবে বেতন পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০১৫ সালে অবসর নেওয়ার পর সেই স্কেলে পেনশন পাচ্ছেন না। অভিযোগ, গ্র্য়াজুয়েট হিসেবে সেই স্কেলেই পেনশন দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। ২০১৯ সালে মামলা করেন ওই শিক্ষক।

রাজ্যের আইনজীবী ভাস্কর প্রসাদ বৈশ্য আদালতে জানান, জেলা পর্যবেক্ষক নতুন স্কেলে টাকা দেওয়ার অনুমতি দেননি। কারণ প্রশ্ন ওঠে, স্কুল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই ওই শিক্ষককে রেগুলার কোর্সে কীভাবে স্নাতকোত্তর করার অনুমতি দেওয়া হল?

শিক্ষকের আইনজীবী বেনজির আহমেদ জানান, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি তাঁকে অনুমতি দিয়েছিল। সব বিষয় জেনেও ডিআই-কে তা জানানো হয়নি। তিনি রেগুলার কোর্সে স্নাতকোত্তর পাশ করেননি বলেও জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ওই ব্যক্তি নিজে স্কেল ঠিক করেন না। ১৬ বছর ধরে স্কুলে হায়ার স্কেলে বেতন পেলেও কেউ তখন বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানায়নি। অথচ অবসরের পর উল্টো যুক্তি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষককে এক মাসের মধ্যে যাবতীয় পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২০২৫ সাল পর্যন্ত যাবতীয় পাওয়া মিটিয়ে দিতে হবে তাঁকে।