কলকাতা: অনাস্থা নিয়ে বৈঠক। কিন্তু স্থানীয় শাসকদলের জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়ে বৈঠক হতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে নদিয়ার ভাতজাংলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। জেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ না হওয়ার অভিযোগ তুলে এক গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শুক্রবার আদালত নির্দেশ দিল প্রয়োজনে পুলিশ বসিয়ে অনাস্থা সংক্রাTMন্ত মিটিং করতে হবে। এদিন বিচারপতি শম্পা সরকারের সিঙ্গল বেঞ্চ নদিয়ার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হলে পঞ্চায়েত অফিসে পুলিশ বসিয়ে বৈঠক করার ব্যবস্থা হোক।
নদিয়ার কৃষ্ণনগর ব্লকে ২৮ আসনের ভাতজংলা গ্রামপঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে থাকলেও বেশ কিছুদিন আগে ১৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে নাম লেখান। এরপরই তৃণমূল গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য তোড়জোর শুরু করে বিজেপি। কিন্তু তাদের অভিযোগ ছিল, প্রশাসন কোনও ভাবে তাদের সহযোগিতা করছে না। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা।
ভাতজংলা গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য কৌশিক ঘোষ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান স্বপন ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সদস্যরা অনাস্থা চেয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী, এর আগেই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় ৫ অগস্ট অনাস্থা বৈঠক করতে হবে। কিন্তু ৪ অগস্ট পুলিশ আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে দাবি করে বৈঠক স্থগিত করে দেয়। কৌশিক ঘোষ অবিলম্বে অনাস্থা বৈঠক চেয়ে আবেদন জানান।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন, আগামী ১৩ অগস্ট এই অনাস্থা বৈঠক ডাকতে হবে। আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পঞ্চায়েত অফিসে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বিডিও এবং গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য ছাড়া আর কেউ সেখানে থাকবেন না। মামলাকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, পঞ্চায়েতের ২৭ জন সদস্যের অধিকাংশই প্রধানের বিরুদ্ধে। বৈঠক হলে প্রধানকে পদ থেকে সরতে হবে। সে কারণেই বৈঠক ডাকা হচ্ছে না। তবে এবার এই অনাস্থা বৈঠক নিয়ে সময়সীমা বেধে দিল আদালত। আরও পড়ুন: তৃণমূলে থেকেই মুকুল বললেন ‘উপনির্বাচনে তৃণমূল হেরে যাবে’, নয়া জল্পনা উস্কে দিলেন ‘রায়বাবু’