তৃণমূলে থেকেই মুকুল বললেন ‘উপনির্বাচনে তৃণমূল হেরে যাবে’, নয়া জল্পনা উস্কে দিলেন ‘রায়বাবু’

Mukul Roy: কেন মুকুল রায় এ ধরনের মন্তব্য করলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। এটা কি মুকুলের কোনও রাজনৈতিক কৌশল?

তৃণমূলে থেকেই মুকুল বললেন 'উপনির্বাচনে তৃণমূল হেরে যাবে', নয়া জল্পনা উস্কে দিলেন 'রায়বাবু'
ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2021 | 5:18 PM

নদিয়া: তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজে কৃষ্ণনগরে গিয়ে অবাক করা মন্তব্য মুকুল রায়ের মুখে। খাতায় কলমে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক তিনি। এদিকে তৃণমূল ভবনে গিয়ে পুরনো দলে আবারও যোগ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে গিয়ে সেই মুকুলের মুখে শোনা গেল ‘তৃণমূলের হার’-এর ভবিষ্যৎবাণী।

এদিন মুকুল রায় নিজের দলীয় অবস্থান রীতিমত গুলিয়ে দিয়ে বলেন, “দেখা যাক উপনির্বাচন হোক। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি তৃণমূল উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হবে। কৃষ্ণনগরে ভারতীয় জনতা পার্টি স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা পাবে। তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাবে এখানে।” পরক্ষণেই আবার মুকুল রায় বলেন, “বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না। মা মাটি মানুষের কাছে তাদের সঙ্কট প্রতিষ্ঠিত হবে।”

কেন মুকুল রায় এ ধরনের মন্তব্য করলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। এটা কি মুকুলের কোনও রাজনৈতিক কৌশল নাকি শারীরিক কোনও সমস্যা থেকে তিনি একই মুখে দু’কথা বলছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামলা চলছে। সে কারণে নিজের নির্বাচন কেন্দ্রে নিয়ে মুকুল রায় বিজেপি নেতা বলেই নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন একাংশ। আবার গত কয়েক মাসে মুকুল রায়কে খুব কাছ থেকে যারা দেখেছেন, তাঁরা বলেছেন, ‘মুকুলদা এই মুহূর্তে এক কথা বলেন। পর মুহূর্তে অন্য কথা শোনা যায় তাঁর মুখে।’

এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “মুকুল রায় যা বলেন কিছুক্ষণের মধ্যেই তার উল্টো প্রতিক্রিয়া দেন। যেদিন উনি বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন, তার এক ঘণ্টা আগে উনি আমাদের এক দলীয় নেতাকে বলেছিলেন ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ, আমার মানসিক অবস্থার ঠিক নেই। অথচ লোকজন বলছে, আমি নাকি তৃণমূলে যাচ্ছি’। তার পর তিনি চলে গেলেন। ওনাকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। মানসিক চাপে আছেন। উনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেন এবং অবস্থান বদলে ফেলেন।”

শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, “কেউ বলতে পারেন ওনার শারীরিক অবস্থা ঠিক নেই, কেউ বলতে পারেন মানসিক চাপে আছেন। আমরা ওনার সুস্থ জীবন, দীর্ঘায়ু কামনা করি। উনি বিজেপিতে নেই এখন। উনি কৃষ্ণনগরের মানুষের জনাদেশের সঙ্গে বেইমানি করেছেন।” আরও পড়ুন: ‘গর্ভবতী নার্স শুয়েছিল, ছবি তুলে ভাইরাল করে দিয়েছে!’ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কেলেঙ্কারির অভিযোগ