
কলকাতা: ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে এবার বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ওই পরীক্ষায় ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণে যাঁদের ইন্টারভিউতে ডাকা হয়নি, তাঁদের ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য এসএসসি-কে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, শুধুমাত্র মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিতে হবে। ইন্টারভিউয়ের নম্বর মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দিতে হবে এসএসসি-কে। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে কি না, সেই বিষয়ে হাইকোর্টকে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
গত ৩ এপ্রিল এসএসসি-র ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষাকর্মী। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের লিখিত পরীক্ষার ফলও বেরিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২০১৬ সালের প্যানেলে ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিতে কমিশনকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সিনহা।
২০১৬ সালের প্যানেলে ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকা চাকরিপ্রার্থীরা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। ওই চাকরিপ্রার্থীরা ২০১৬ সালের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। নথি যাচাইও হয়েছিল। মামলাকারীদের আইনজীবী হাইকোর্টে বলেন, নথি যাচাইয়ের পর ওই চাকরিপ্রার্থীদের জানানো হয় যে তাঁদের বয়সসীমা পেরিয়ে গিয়েছে। সেই কারণে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে না। মামলাকারীদের আইনজীবীর আরও দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বয়সজনিত ছাড় পাবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে না।
এরপরই এদিন বিচারপতি সিনহা ২০১৬ সালের প্যানেলে ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে যাঁরা মামলা করেছিলেন, কেবলমাত্র তাঁরাই ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পাবেন। হাইকোর্টের এই নির্দেশ নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে এখনই কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কমিশনের বক্তব্য, হাইকোর্টের নির্দেশ খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের তরফে চিন্ময় মণ্ডল বলেন, “ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে যাঁরা যোগ্য চাকরিহারা, তাঁদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়টিও যেন হাইকোর্ট নজরে রাখে।”