জোর করে বেতন কেটে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দান বেআইনি, জানাল হাইকোর্ট

Calcutta High Court: বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দেন, জোর করে কর্তৃপক্ষ বেতন কাটতে পারে না। একদিনের বেতন কাটা হলেও সেটা বেআইনি।

জোর করে বেতন কেটে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দান বেআইনি, জানাল হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

| Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Jul 29, 2021 | 4:05 PM

কলকাতা: বেতনভোগীর সম্মতি ছাড়া একতরফা ভাবে বেতন কেটে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দান করা বেআইনি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বৃহস্পতিবার এক নির্দেশে এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দেন, জোর করে কর্তৃপক্ষ বেতন কাটতে পারে না। একদিনের বেতন কাটা হলেও সেটা বেআইনি।

ঘটনা হচ্ছে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাকারীর বক্তব্য, তাঁর ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে প্রাধান্য না দিয়ে এবং মতামত না নিয়েই তাঁর একদিনের বেতন কেটেছে কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে রায় দিতে গিয়ে আদালত জানিয়ে দেয়, জোর করে বেতন কেটে নিয়ে দান করা যায় না। মঙ্গলবার অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের আর্জিতেই সায় দেন বিচারপতি সিনহা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “অনুদান বিষয়টা স্বেচ্ছার উপরে নির্ভর করে। তা কখনই জোর করে নেওয়া হতে পারে না। তাই একদিনের বেতন কাটা অনৈতিক।”

২০২০ সালের মে মাসে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রত্যেক অধ্যাপকের এক দিনের বেতন দান করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী। সেই কারণে বেতন কেটে নেওয়া হয় সুদীপ্তবাবুর। হাইকোর্টে মামলা করে সুদীপ্তবাবুর আবেদন ছিল, বেসিক স্যালারি ফিক্সড হয়। নিয়ম অনুসারে তা সম্পূর্ণভাবেই কর্মচারীদের হাতে আসা উচিত।

মামলায় ‘অনুদানের’ সংজ্ঞাও উঠে আসে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অনুদান সেটাই স্বেচ্ছায় যা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অধিকার নেই বেতন কাটার। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “এটি একটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। কে কাকে টাকা দান করবেন সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।” আরও পড়ুন: উপরে বাস, নীচে মেট্রো, গড়করীর কাছে ‘ত্রি-টায়ার’ চাইলেন মমতা, সঙ্গে কিছু ফ্লাইওভার