কলকাতা: ডুমুরজলা পার্কের মধ্যে কীভাবে সরকারি স্পোর্টস সিটি তৈরি করা যায়? রাজ্য সরকারের কাছে কৈফিয়ৎ তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
ডুমুরজলা পার্কের মধ্যে প্রায় ৫৬ একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে ডুমুরজলা স্পোর্টস সিটি। এইভাবে স্পোর্টস সিটি তৈরি করা হলে তা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করবে। এতে বাস্তুতন্ত্রও নষ্ট হয় বলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ।
হাওড়া শহরের ফুসফুস হিসাবে ধরা হয় এখানকার ডুমুরজলা মাঠকে। বহু বছর আগে হাওড়া উন্নয়ন সংস্থা বা এইচআইটি প্রায় ৫৬ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল এখানে খেলাধূলার ব্যবস্থা করার জন্য। এরপর ধীরে ধীরে ভোল বদলাতে শুরু হয়। তৈরি হয় ডুমুরজলা স্টেডিয়াম, সুইমিং পুল।
যদিও তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর হিডকোর হাত ধরে নতুন সাজে সেজে উঠতে শুরু করে ডুমুরজলা। বছর চারেক আগে এই ডুমুরজলা স্টেডিয়াম ঘিরে স্পোর্টস সিটি তৈরির প্রস্তাব দেয় রাজ্য। প্রায় ৬০ একর জমিতে ‘খেল নগরী’ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
বিভিন্ন রকম খেলাধূলার পরিকাঠামোয় শান দিতে এই প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য। হকির মাঠ, ক্রিকেটের মাঠ, সুইমিং পুল কমপ্লেক্স, ব্যাডমিনটন, টেনিস, বাস্কেটবল, ভলিবল কোর্ট, কুস্তি চর্চার জায়গা-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। ইন্ডোর-আউটডোর সবরকমের খেলারই ব্যবস্থা থাকবে এই স্পোর্টস সিটিতে।
২০১৮ সালের ঘোষণা হলেও সম্প্রতি ফের শিরোনামে উঠে আসে ডুমুরজলা স্পোর্টস সিটির প্রসঙ্গ। অগস্টে হিডকো এই প্রকল্পের কাজ নিয়ে তোড়জোর শুরু করে। এবার সেই প্রকল্প আইনি জটিলতায় পড়ল। পরিবেশ নষ্ট করে স্পোর্টস সিটি তৈরি করা যাবে না, এই মর্মে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের হয়।
ইমতিয়াজ আহমেদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য মঙ্গলবার দাবি করেন, স্পোর্টস সিটি তৈরি করতে জলাভূমি বোজানো হচ্ছে। ফলে ইকো সিস্টেম নষ্ট হচ্ছে। এরপরই আদালত জানায়, রাজ্যকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে এই স্পোর্টস সিটি কোথায় কীভাবে বানানো হচ্ছে? সবুজ ধ্বংসের অভিযোগের ব্যাখ্যাই বা কী তাও জানাতে হবে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে।