Calcutta High Court: ‘এটা আপনার বাড়ি নয়…’, শহরের ঐতিহ্যবাহী স্কুলকে তড়িঘড়ি কাজ থামানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
High Court: প্রাচীন ঐতিহাসিক ওই স্কুলের চরিত্র বদল করতে হলে হেরিটেজ কমিশনের অনুমতি প্রয়োজন। অভিযোগ, সেই অনুমতি না নিয়েই স্কুলের বেশ কিছু অংশ সংস্কার করতে শুরু করেছিল ওই স্কুল দুটি।

কলকাতা: শতবর্ষ প্রাচীন ভবণের নতুন নির্মাণে ‘না’ হাইকোর্টের। শহরের নামজাদা স্কুলকে ফেরাল আদালত। রাজ্যের হেরিটেজ কমিশনের কাছে অনুমতি নেয়নি বলে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
হাইকোর্টে স্কুলের সংস্কারের আর্জি জানিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। কলকাতার লা মার্টিনিয়ার বয়েজ ও গার্লস স্কুল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। বৃহস্পতিবার বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে এদিন বিচারপতি বলেন, “এটা আপনার বাড়ি নয়। সাধারণ স্কুল হলে বুঝতাম। ভুলে যাবেন না, এই স্কুল শহরের হেরিটেজের অঙ্গ।”
প্রাচীন ঐতিহাসিক ওই স্কুলের চরিত্র বদল করতে হলে হেরিটেজ কমিশনের অনুমতি প্রয়োজন। অভিযোগ, সেই অনুমতি না নিয়েই স্কুলের বেশ কিছু অংশ সংস্কার করতে শুরু করেছিল ওই স্কুল দুটি। পুরসভা এই বিষয়ে অভিযোগ তোলে। কাজ বন্ধ করার জন্য কলকাতা পুরসভা আপত্তি জানিয়ে নোটিস পাঠায়। সেই নোটিসে আমল না দিয়ে হাইকোর্টে হাজির হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। মামলা দায়ের করে স্কুলের সংস্কারের আর্জি জানায় কর্তৃপক্ষ।
বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের নির্দেশ, আপাতত স্কুলে কোনও কাজ করা যাবে না। গরমের ছুটির চার সপ্তাহ পর ফের হবে শুনানি।
উল্লেখ্য, মেজর জেনারেল ক্লদ মার্টিন ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা। তিনিই এই স্কুল নির্মাণ করেছিলেন। বিদেশি হয়েও ভারতবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল নির্মাণ করেছিলেন তিনি। এমনকী তাঁর উইলে এই স্কুলের জন্য আলাদা করে অর্থও গচ্ছিত রেখেছিলেন। এদেশের শিক্ষায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য বলেই উল্লেখ করেন ইতিহাসবিদরা।





