SSC examination: শুধু অ্যাডমিট কার্ডে হবে না, SSC চাকরিপ্রার্থীদের আর কী কী আনতে হবে?

Teachers recruitment examination: স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, পরীক্ষায় বসার জন্য অনলাইনে আবেদন করার সময় অনেক চাকরিপ্রার্থীই ছবি ও সই আপলোড করেননি। সেজন্যই শুধু অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে এসে এবার পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। আধার কার্ড কিংবা ভোটার কার্ড সঙ্গে আনতে হবে প্রত্যেককে।

SSC examination: শুধু অ্যাডমিট কার্ডে হবে না, SSC চাকরিপ্রার্থীদের আর কী কী আনতে হবে?
ফাইল ফোটোImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Sep 03, 2025 | 4:44 PM

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা রয়েছে। আর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। এবার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশ জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তারা জানিয়ে দিল, পরীক্ষাকেন্দ্রে আধার কার্ড কিংবা ভোটার কার্ড নিয়ে আসতে হবে প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীকে। কিন্তু, চাকরিপ্রার্থীদের কেন পরীক্ষাকেন্দ্রে আধার-ভোটার কার্ডের মতো পরিচয়পত্রপত্র আনতে হবে?

স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, পরীক্ষায় বসার জন্য অনলাইনে আবেদন করার সময় অনেক চাকরিপ্রার্থীই ছবি ও সই আপলোড করেননি। সেজন্যই শুধু অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে এসে এবার পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। আধার কার্ড কিংবা ভোটার কার্ড সঙ্গে আনতে হবে প্রত্যেককে। আর ওই আধার কিংবা ভোটার কার্ড খতিয়ে দেখার পরই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে চাকরিপ্রার্থীদের। সেজন্য প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীকে ২ ঘণ্টা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষা। প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীকে সকাল ১০টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যেতে হবে। ১০টার মধ‍্যে আধার কিংবা ভোটার কার্ড নিয়ে না পৌঁছলে ওই চাকরিপ্রার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই নির্দেশ বিতর্ক বেধেছে। ভোটার কার্ড কিংবা আধার কার্ড অনেকদিনের পুরনো হলে চাকরিপ্রার্থীর বর্তমান মুখের সঙ্গে মিল নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কী হবে, সেই প্রশ্ন উঠছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, “চাকরিপ্রার্থীকে চিহ্নিত করতে যদি ছবির প্রয়োজন হয়, তবে তা সাম্প্রতিক ছবি হতে হয়। এটাই নিয়ম। আধার-ভোটার কার্ড তো কেউ গতকাল করেননি। অনেকদিন আগে করেছেন। সেক্ষেত্রে তাঁর মুখের আদলের পরিবর্তন হবে। আধার কার্ডের ছবি তোলার পর সেটা প্রিন্ট করার সময় একটু পরিবর্তন হয়। অনেকদিন হয়ে গেলে আরও সমস্যা হয় সেই ছবি দেখে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে। ফলে অনেক সমস্যা হবে। হয়তো সেই সমস্যা জিইয়ে রাখতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সরব হয়েছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিমও। তিনি বলেন, “এই যে ছবি-সই নেই, এরকম বিভিন্ন পদ্ধতিগত ত্রুটি রাখা হচ্ছে। একজনের পরীক্ষা অন্যজন দিয়ে চলে আসবে। আসলে এটা করাই হচ্ছে পদ্ধতিটিকে ত্রুটিযুক্ত ও দুর্নীতি করার জন্য।” দুর্নীতি হলে ফের আদালত হস্তক্ষেপ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “দুর্নীতি করলে তো আদালত হস্তক্ষেপ করবেই। আর যদি ভবিষ্যতে দুর্নীতি হয়, তাহলে সমস্যা হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার তো দুর্নীতিগ্রস্ত কাজকর্মই করবে।”