AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CBI On Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মানিট্রেল’ খুঁজতে ফরেনসিক অডিট CBI-এর

CBI On Recruitment Scam: এর আগে দেখা গিয়েছে, সারদা কেলেঙ্কারির সময়েও ফরেনসিক অডিট করানো হয়েছিল। আপাতত সিবিআই৩০-৩৮টা সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে, যার মাধ্যমে দুর্নীতির কালো টাকা বিভিন্ন জায়গায় পাচার হয়েছে।

CBI On Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে 'মানিট্রেল' খুঁজতে ফরেনসিক অডিট CBI-এর
সিবিআইImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2023 | 10:36 AM
Share

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহাও তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। বিচারপতির ভর্ৎসনা মুখে পড়েন তদন্তকারীরা। বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নবাণে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। হাইকোর্টের কড়া ভর্ৎসনার পরই তৎপর সিবিআই। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে কত টাকার দুর্নীতি হয়েছে? এবার সেটা খুঁজতে তৎপর সিবিআই।

নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন সূত্রের খোঁজে এবার ফরেনসিক অডিট করতে চান সিবিআই তদন্তকারীরা। সিবিআই-এর হাতে তথ্য় এসেছে, ৩৮টির বেশি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাচার হয়েছে। সেই সংস্থাগুলোর লেনদেনেরও ফরেনসিক অডিট করবে সিবিআই। ‘অনন্ত টেক্স ফ্যাব’ থেকে ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ সব সংস্থাই আসবে অডিটের স্ক্যানারে। এই ‘অনন্ত টেক্স ফ্যাবের’ নাম নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে উঠে এসেছিল। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে ছিল এই কোম্পানি। ওই সংস্থার এক ডিরেক্টরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সেখানেও খেটেছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর অন্যদিকে, বহু চর্চিত ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির আর্থিক লেনদেনও এই অডিটের আওতায় আসবে।

এর আগে দেখা গিয়েছে, সারদা কেলেঙ্কারির সময়েও ফরেনসিক অডিট করানো হয়েছিল। আপাতত সিবিআই৩০-৩৮টা সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে, যার মাধ্যমে দুর্নীতির কালো টাকা বিভিন্ন জায়গায় পাচার হয়েছে। সেই সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কোথায় কীভাবে টাকা গিয়েছে, কাদের কাছে গিয়েছে, সেই মানি ট্রেল রাখা, পর্যান্ত সংগ্রহ করার জন্যই ফরেনসিক অডিট করানোর সিদ্ধান্ত।

ইতিমধ্যেই ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজ্যান্স ইউনিটের কাছে সাহায্য চেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যে সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা প্রত্যেকেই এই অডিটেও আওতায় আসবে।

উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও সিবিআই-কে পরামর্শ দিয়েছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ খুঁজে বার করতে। এবার সেই সূত্র খুঁজে পেতেই নয়া সিদ্ধান্ত সিবিআই আধিকারিকদের।