AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CBI ED Corona Cases: করোনার থাবা, এবার ইডি-সিবিআই অফিসারদের ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’!

CBI ED Corona Cases: সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস ও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স মিলিয়ে ১৩ জন অফিসার করোনা আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিবিআইয়ের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, চিটফান্ড তদন্ত ও দুর্নীতিদমন শাখার অফিসাররা।

CBI ED Corona Cases: করোনার থাবা, এবার ইডি-সিবিআই অফিসারদের 'ওয়ার্ক ফর্ম হোম'!
পাচারকাণ্ডে হাজিরার নির্দেশ (ফাইল চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Jan 05, 2022 | 1:07 PM
Share

কলকাতা: কোভিডের কারণে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু করল কলকাতা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এখনও পর্যন্ত ইডি দফতরের কেউ আক্রান্ত না হননি। তবে আগাম সুরক্ষার কথা ভেবে এই ব্যবস্থা চালু করল ইডি। পাশাপাশি চালু করা হয়েছে ৫০ শতাংশ হাজিরাও। অন্যদিকে, সিবিআই কলকাতা শাখায় ১৩ জন কোভিড আক্রান্ত। সিবিআই-ও ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ভাবনায় রয়েছে।

সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস ও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স মিলিয়ে ১৩ জন অফিসার করোনা আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিবিআইয়ের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, চিটফান্ড তদন্ত ও দুর্নীতিদমন শাখার অফিসাররা।  এই পরিস্থিতিতে ৪০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চলবে কাজ। বাকিরা থাকবেন কোয়ারেন্টিনে। সিবিআই-এর দুটি দফতরেই স্যানিটাইজেশন করা হবে বলে খবর।

ক্রমেই জাল ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। পরিসংখ্যান বলছে, একধাক্কায় প্রায় ৩ হাজার বৃদ্ধি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত ৯ হাজার ৭৩। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৬ জন করোনা রোগীর। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরা।

তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে উপসর্গ অনেক হালকা। চিকিৎসক বলছেন, “ভাগ্য ভালো আক্রান্তদের বেশিরভাগই ৫-৭ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। হয়তো হোম আইসোলেশনের যে লম্বা ১৭ দিনের পিরিয়ড, সেটাকেও কমিয়ে আনা হবে। যদি সেটা কমিয়ে আনা হয়, তাহলে ওয়ার্ক টার্নওভার বা অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেকটা উপকারী হবে।”

বিশ্বের অনেক দেশই এখন ১৪ দিন বা ২১ দিনের আইসোলেশনের নিয়মে বদল এনেছে। সম্প্রতি আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আমেরিকাবাসীর জন্য আইসোলেশনের নতুন প্রোটোকল চালু করেছে। সেখানে বলা হয়েছে করোনা আক্রান্ত হলে পাঁচ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। সাতদিন পর কাজে যোগ দেওয়া যাবে। সেই পথেই এবার ভারতও হাঁটবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। মঙ্গলবার এসএসকেএমের চিকিৎসকদের কথাতেও তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে।

কলকাতায় যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে ফের খোলা হচ্ছে সেফ হোমগুলি। তিনটি সেফ হোমের শয্যা সংখ্যা ৩৫০। কলকাতার তিনটি সেফ হোম। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হল বাইপাস সংলগ্ন সেফ হোম। এখানে রয়েছে ২০০ টি শয্যা। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দুই কর্তা ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি পরিদর্শন করেছেন। বেডগুলির পরিকাঠামো, কাজের গুণগত মান, পরিচ্ছন্নতা-সব খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। পরিদর্শনে গিয়েছেন রাজ্য দফতরের এক জন হেলথ অফিসারও।

আরেকটি সেফ হোম হয়েছে কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। এই সেফ হোমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ায়, তা খোলা হয়েছে। সেগুলিকে চালু করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুর প্রশাসন। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ১০০ টি শয্যা রয়েছে। ইতিমধ্যেই তা পরিস্কার করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের তরফে চিকিৎসক ও নার্সরা এই সেফ হোমের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। কলকাতার তৃতীয় সেফ হোমটি রয়েছে উত্তর কলকাতায়। সেখানে ৫০টি শয্যা রয়েছে।

আরও পড়ুন: অধ্যক্ষ সহ একদিনে এনআরএসে আক্রান্ত ১৯৮, কী ভাবে চলবে হাসপাতাল? উঠছে প্রশ্ন