কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) মামলায় যুক্ত হল আরও তিনটি এফআইআর (FIR)। বুধবার পর্যন্ত সবমিলিয়ে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই (CBI) দায়ের করা মামলা বেড়ে দাঁড়াল ৪৩-এ।
একুশের ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েকটি। তার মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগই করে বিজেপি। তারা অভিযোগ করে, বহু ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে। শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে মামলা করতে অনীহা দেখিয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। এর পর গত ১৯ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
কোন কোন জায়গায় মামলা?
জানা গিয়েছে, এদিন যে নতুন তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে প্রথম কেসটি গল্ফ গ্রিন থানার। সিবিআই সূত্রে খবর, নির্যাতিতের পরিবার অভিযোগ করেছে, বাঁশ, লোহার রড, ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর আক্রমণ করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আদালতের নির্দেশ মেনে এদিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে দ্বিতীয় যে এফআইআরের কথা জানা যাচ্ছে, সেটা দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানা এলাকার। গত ১ মে গঙ্গারামপুর থনায় একটি এফআইআর দায়ের হয়। সেখানে নির্যাতিতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, গত ২৭ এপ্রিল ধারাল অস্ত্র, বাঁশ, রড দিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। গঙ্গারামপুর কালদিঘি হাসপাতালে নির্যাতিত ভর্তি হন। কিন্তু তাঁকে ফেরানো যায়নি। হাসপাতালেই ২৯ এপ্রিল মৃত্যু হয় ওই রাজনৈতিক দলের কর্মীর।
আর তৃতীয় যে এফআইআর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দায়ের হয়েছে, সেটা গত ১০ মে-র একটি ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা থানায় ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু এক ব্যক্তির। মৃতের স্ত্রীয়ের অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে। বাড়ি থেকে দূরে একটি জায়গা থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: ‘জাহাজ ঘরের মালিককে জেলে ঢোকাবই’, Suvendu Adhikari-র আক্রমণে কে?
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা( Post Poll Violence) তদন্তে নেমে প্রথম সিবিআই যে মামলায় হাত দিয়েছিল সেটা বীরভূমের। ইলামবাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চার প্রতিনিধি। ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের মৃত্যুর তদন্ত করার লক্ষ্যে যান তাঁরা। ভোট পরবর্তী হিংসা ( Post Poll Violence) তদন্তে এটাই ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার (CBI) প্রথম হানা।
আরও পড়ুন: Khardah: আশীর্বাদ চেয়ে অপরাধ! জয় সাহার বিরুদ্ধে এফআইআর কাজল সিনহার স্ত্রীয়ের
আরও পড়ুন: মোদী কেন চুপ? Sougata-র প্রশ্নে Sukanta-র কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি তো বাংলাদেশের আরও কাছে!