SSC Case: SSC নিয়োগ দুর্নীতেতে প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে এফআইআর সিবিআইয়ের
CBI lodges FIR in SSC Case: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগের দুর্নীতির (SSC Recruitment Case) অভিযোগে এবার এফআইআর রুজু করল সিবিআই। এসএসসির প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর অলোক কুমার সরকার এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।
কলকাতা : এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগের দুর্নীতির (SSC Recruitment Case) অভিযোগে এবার এফআইআর রুজু করল সিবিআই। এসএসসির প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর অলোক কুমার সরকার এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দুর্নীতি দমন আইনের ৭ নং ধারাতেও অনৈতিকভাবে টাকা নিয়ে কাজ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর অলোক কুমার সরকারকে সন্ধে ৬ টার মধ্যে সিবিআই দফতরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ওই একই সময়ের মধ্যে হাইকোর্ট প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিত আচার্যকেও সিবিআই অফিসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল।
এসএসসির গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিত আচার্যকে সিবিআই অফিসে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার সিবিআইয়ের তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহাকেও নিজাম প্য়ালেসে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। গতকাল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় একাধিক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। সিবিআইকে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি এই সবের বিষয়ে কিছু জানেনই না। তাঁকে যেভাবে ওই প্যানেল দেওয়া হয়েছিল, তিনি সরাসরি সেইভাবেই তা কম্পিউটারে তুলে দিয়েছিলেন। কতজনের নাম ছিল, কতজন পাশ করেছিলেন, সে সব কিছুই তিনি জানেন না।
যদিও শান্তি প্রসাদ সিনহার সেই বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সিবিআই অফিসারারও। সূত্রের খবর, এই বিতর্কিত প্যানেল অন্তর্ভুক্তির জন্য কোন পর্যায় থেকে তাঁর ওপর চাপ এসেছিল? সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মনে সংশয় ছিল, তিনি উপদেষ্টা পদে ছিলেন অথচ কিছু জানতে পারলেন না, এটা কী আদৌ সম্ভব? এরপর বুধবার এসএসসির প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর অলোক কুমার সরকারকেও হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে।