কলকাতা : বগটুই গণহত্যা(Bogtui Massacre) এবং তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই(CBI)। আজ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বগটুই গণহত্যায় অভিযুক্ত ২ নাবালক জুভেনাইল আদালত থেকে জামিন পেয়েছে। তাদের জামিন খারিজের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন কেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। তা নিয়ে প্রধান বিচারপতি সিবিআইকে নির্দেশ দেন, ২ নাবালক অভিযুক্তের জামিন খারিজের আবেদন নিম্ন আদালতে করতে।
২১ মার্চ রাতে বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় ভাদু শেখকে। তিনি বড়শাল পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ছিলেন। ভাদু শেখ খুন হওয়ার পরই উত্তেজনা ছড়ায় বগটুইয়ে। অভিযোগ, ভাদুর অনুগামীরা একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে প্রথমে মৃত্যু হয় আটজনের। কয়েকদিন পর মারা যান আরও এক মহিলা। মাসখানেক পরে মৃত্যু হয়েছে আরও এক মহিলার। সবমিলিয়ে ১ নাবালক, এক পুরুষ এবং আট মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ৭ এপ্রিল বগটুই হত্যাকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিবিআই। ওইদিন তারা জানিয়েছিল, ভাদু শেখের খুনের সঙ্গে গণহত্যার সম্পর্ক রয়েছে। ভাদু শেখ খুনের ঘটনায়ও সিবিআই তদন্তের দাবি জানান মামলাকারীর আইনজীবীরা। রাজ্যের তরফে তখন বলা হয়, পুলিশ এই মামলার তদন্ত করছে। ফলে সিবিআই-কে তদন্তভার দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পরে অবশ্য হাইকোর্ট ভাদু শেখ খুনের তদন্তভারও সিবিআই-কে দেয়। দুটি ঘটনার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর আজ হাইকোর্টে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।
এদিকে, বগটুই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ নাবালক জুভেনাইল কোর্টে জামিন পেয়েছে। তাদের জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, কোনও কেস ডায়েরি ছাড়াই জুভেনাইল কোর্টে জামিন পেয়েছে দুই অভিযুক্ত। সিবিআই জামিন খারিজের আবেদন করেছিল। কিন্তু, সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ করে দেয় জুভেনাইল কোর্ট। তিনি দাবি করেন, দুই অভিযুক্তের বয়স ১৬ বছরের বেশি। ওই মামলার কেস ডায়েরি তলব করুক হাইকোর্ট। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে জামিন খারিজ করার ক্ষমতা আছে আদালতের। অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, নিম্ন আদালতে ওই দুই অভিযুক্তের জামিন খারিজের আবেদন করুক সিবিআই। এদিকে, মামলার আর এক আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী আবেদন জানান, নিম্ন আদালতের শুনানি বীরভূম জেলা থেকে সরানো হোক।