
কলকাতা ও নদিয়া: কাজের চাপে ফের এক বিএলও-র আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। জলপাইগুড়ির মালবাজারের পর এবার ঘটনাস্থল নদিয়া। শনিবার কৃষ্ণনগরের ষষ্ঠীতলায় রিঙ্কু তরফদার নামে এক বিএলও-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় এবার নদিয়ার জেলাশাসক তথা ডিইও-র কাছ থেকে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ কুমার আগরওয়াল। কী কারণে ওই বুথ লেভেল অফিসারের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বললেন রাজ্যের সিইও।
এদিন কৃষ্ণনগরের ষষ্ঠীতলায় বাড়ি থেকে বছর একান্নর ওই বিএলও-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। যেখানে রিঙ্কু তরফদার লিখেছেন, “বিএলও-র কাজ তুলতে না পারলে প্রশাসনিক চাপ আসবে। তা আমার পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়।” তাঁর মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে ওই বিএলও লিখেছেন, “আমার এই পরিণতির জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। আমি কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। খুবই সাধারণ মানুষ। কিন্তু এই অমানুষিক কাজের চাপ আমি নিতে পারছি না।”
তিনি একটি স্কুলের পার্শ্বশিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, অনলাইনে তেমন দক্ষ ছিলেন না রিঙ্কু। তারপরও তাঁকে বিএলও-র দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিএলও-র কাজের চাপেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের অভিযোগ। এই নিয়ে শোরগোল পড়তেই তৎপর হয় কমিশন। সূত্রের খবর, নদিয়ার জেলাশাসকের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করে কমিশন। ওই বিএলও-র মৃত্যুর কারণ নিয়ে দ্রুত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য জেলাশাসককে বলেছেন রাজ্যের সিইও।
এর আগে জলপাইগুড়ির মালবাজারে এক বুথ লেভেল অফিসারের আত্মহত্যার ঘটনায়ও কাজের চাপের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার শান্তি মুনি ওরাওঁ নামে ওই বিএলও-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায়ও জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন সিইও। তবে সেই রিপোর্ট এখনও পায়নি নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যেই নদিয়ায় বিএলও-র আত্মহত্যার ঘটনায় কাজের চাপের অভিযোগ উঠল।