
কলকাতা: কাজের চাপের অভিযোগ তুলে সোমবার সকালে একাংশের বিএলও-দের প্রতিবাদ মিছিল। সিইও দফতরে প্রতীকী তালা ঝোলানোর ‘হুঙ্কার’। আর বিকালেই সাংবাদিক বৈঠকে বসলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও। বিএলও-দের প্রসঙ্গ উঠতেই বললেন, ‘ওনারা কমিশনের মুখ। সত্যিকারের হিরো’। রাজ্যের ৮০ হাজার বুথ স্তরীয় আধিকারিকের উপর চাপ যে পড়ছে, সেই কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। পাশাপাশি দিয়েছেন সুরাহা।
রাজ্যে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন শুরু হতেই কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলতে দেখা যায় বিএলও-দের। প্রাথমিক স্তরে যে অভিযোগগুলি সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম –
বেশির ভাগ দাবিপূর্ণ হয়নি বললেও ভুল হবে। কিন্তু যে দাবির সঙ্গে জুড়ে জনস্বার্থ সেই দাবি পূরণে তৎপর কমিশন। তা হল, ডিজিটাইজেশনের সময় তৈরি হওয়া সমস্যা। ইন্টারনেট ও সার্ভার জনিত ইস্যু। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য়ের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী জানিয়েছেন, ‘আমরা একটা ওয়াইফাই হাব তৈরি করেছি। যে সকল বিএলও-রা অনলাইনে কাজ করছেন, তাঁদের স্বার্থেই এই কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও সিইও টেলিকম সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।’
শুধু তা-ই নয়, রাজ্য়ের জেলাশাসকদেরও সাফ নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। বিএলও-দের অসুবিধা হলে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সোমবারের বৈঠকে সেই কথাই আবার স্মরণ করালেন সিইও মনোজ আগরওয়াল।
বিএলও-দের হাজার অভিযোগ, কিন্তু তারপরেও কি কোনও কাজ হয়নি? একটা অংশ নানা অভিযোগ তুলছেন, আরেক একটা অংশ ঠিক কাজ করে যাচ্ছেন। অন্তত সোমবার সিইও দফতরের দেওয়া পরিসংখ্য়ান সেই কথাই বলছে। মনোজ আগরওয়াল স্বীকার করেছেন যে চাপটা সত্যিই অত্যাধিক। বিএলও-রাই ‘রিয়েল হিরো’। কিন্তু তাঁরা কাজটাও মন দিয়ে করছেন। সিইও-র কথায়, ‘কিছু বিএলও খুব ভাল করছেন। তবে এনাদের মধ্যে কেউ কেউ অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। যেমন দক্ষিণ দিনাজপুরের নারায়ণ কুমার লাহা, কালিম্পঙের লিডিয়া লেপচা, নদিয়ার ওয়াহিদ আক্রম মণ্ডল, অবিনাশ খাওয়াস, জলপাইগুড়ির সঞ্জয় প্রামাণিক। এনারা ১৫ দিনের মাথায় ১০০ শতাংশ কাজ শেষ করেছেন। আর এনাদের মতোই এরকম ১২১ জন বিএলও রয়েছেন।’