
কলকাতা: কিছুদিন আগেই মন্দির উদ্বোধনের দিনও দেখা গিয়েছিল ব্যাপক উন্মাদনা। একদিন আগেই মহাসমারোহে হয়ে গিয়েছে স্নানযাত্রা। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা এলাকা। এরইমধ্যে নবান্ন সভাঘরে রথ নিয়ে বড় বৈঠক করে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেওয়া হল একগুচ্ছ নির্দেশ। মুখ্যমন্ত্রী নিজে রথের সময় দিঘায় থাকবেন। সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করার কথা রয়েছে তাঁর।
মন্দির উদ্বোধনের দিন যেমন ব্যবস্থা ছিল, রথের দিনও সেই একই স্তরের ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এবার মানুষ রথ টানার জন্য ব্যস্ত থাকবেন, তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও একটু বেশি আঁটসাঁট করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রথের দিন দিঘায় প্রায় ২ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সকলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। আলাদা করে বারবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলে যাতে দর্শন করতে পারেন সেই মতো ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রথ টানার সময় ঠিক হবে বলেও জানা যাচ্ছে। রথের দড়ি সকলেই ছুঁতে পারবেন। কিন্তু নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট ভলেন্টিয়ার এবং সাধু সন্তরাই রথের দড়ি টানবেন।
এরইমধ্যে দিঘার সমস্ত হোটেল ওই সময়ের জন্য বুকিং হয়ে গিয়েছে। তাই রথের সময়ে বাড়ি ভিড়ের কারণে হোটেল নিয়ে কালোবাজির হতে পারে। তাই তা রুখতে এখন থেকেই তৎপর স্থানীয় প্রশাসন। মে আই হেল্প ইউ ক্যাম্প ভাগে থাকবে দিঘার সর্বত্রই। এছাড়াও মেডিকেল ক্যাম্প ,জলছত্র ,বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণ ও খাবার বিতরণ ব্যবস্থা থাকবে। সূত্রের খবর, স্নেহাশিস চক্রবর্তী ,চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ,পুলক রায়, সুজিত বসু ও অরূপ বিশ্বাসকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে রথের সময় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। ওই সময় বৃষ্টি হতে পারে তাই দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনডিআরএফ এবং এসডি আরএফ কে বিশেষ দল নিয়ে থাকা নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সমুদ্র স্নানে তীর্থযাত্রীদের যাতে কোন সমস্যা না হয় বা বিপদে না পড়ে তাও দেখতে বলা হয়েছে।