Waqf Meeting: ওয়াকফ অশান্তির মধ্যেই মেগা বৈঠকে মমতা, নেতাজি ইন্ডোরে দাঁড়িয়ে ইমামরা বলছেন, ‘শান্তি চাই’
Waqf Meeting: দিন সকাল থেকে কমবেশি প্রায় সকল আগত প্রতিনিধিদের মুখেই শোনা গেল ‘শান্তির’ কথা। নেতাজি ইন্ডোরের সামনে দাঁড়িয়ে একজন বললেন, “গোটা বাংলায় আমরা শান্তি চাই। শান্তির বার্তা দিতে চাই।”

কলকাতা: ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে রাজ্যজুড়ে অসন্তোষের ঢেউ। হিংসার আগুনে জ্বলে মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিনায়, সামশেরগঞ্জের মতো এলাকা। অন্যদিকে অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে চাঁপদানি থেকে আমতলা এমনকি ভাঙড়েও। এই আবহেই পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি নিয়েই এদিন রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরে হচ্ছে সেই বৈঠক। সভার আয়োজক ইমাম অ্যাসোসিয়েশন।
এদিন সকাল থেকেই নেতাজি ইন্ডোরের সামনে ভিড় দেখা যাচ্ছে। বহু আমন্ত্রিতই সকাল থেকে নেতাজি ইন্ডোরে আসা শুরু করেছে। দেখা যাচ্ছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। অনেকেই বললেন, তাঁদের একাধিক দাবি রয়েছে। সবই জানাবেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধ বললেন, “আমরা রায়গঞ্জ থেকে এসেছি। শান্তি চাইছি। আমরা যেন ডাল-ভাত খেয়ে চলতে পারি সেটাই চাই।” আর একজন বললেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাতে ওয়াকফ বিল বাতিল হয় সেই দাবি আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানাতে চাই। আমাদের প্রটেকশন দেওয়া হোক। সকল জাতি-ধর্ম-বর্ণ মিলে আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”
তবে এদিন সকাল থেকে কমবেশি প্রায় সকল আগত প্রতিনিধিদের মুখেই শোনা গেল ‘শান্তির’ কথা। নেতাজি ইন্ডোরের সামনে দাঁড়িয়ে একজন বললেন, “গোটা বাংলায় আমরা শান্তি চাই। শান্তির বার্তা দিতে চাই। আমরা যেন পুলিশের থেকে সাহায্য পাই, তাঁদেরও যেন সাহায্য করতে পারি।” তবে খোঁচা দিতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মুর্শিদাবাদের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, “আমাদের কাছে বারবার হিন্দুদের ফোন এসেছে। বলা হয়েছে বিএসএফ পাঠান। ভোর থেকে শুরু হয়েছিল। সকালে যখন বিএসএফ ঢোকে ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। দাঁড়িয়ে দর্শক হিসেবে পুলিশ দেখেছে। আমার মনে হয় এটাই ওদের স্ট্র্যাটেজি।”





