কলকাতা: লকডাউন পরিস্থিতি ঠিক কতটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল ব্যবসায়ীদের? করোনার উর্ধ্বমুখী (Corona Update) গতিতে এখন কতটা প্রভাব পড়ছে ব্যবসায়? তা নিয়ে একটা স্বচ্ছ রূপরেখা তৈরি করতে সমস্ত চেম্বার ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay)। মঙ্গলবার বিকাল চারটেয় নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠক হবে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে আরও বিপদজ্জনক করোনা। ছড়াচ্ছে আরও দ্রুত হারে। আগামী চার সপ্তাহে দেশ জুড়ে অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি। হুঁশিয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। দেশবাসীর সহায়তা ছাড়া অতিমারি পরিস্থিতির মোকাবিলা করা কঠিন, বলছে কেন্দ্র। বিশ্বে দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে ভারত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৯৬। মোট প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজার ৪০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। যার মধ্যে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণা দুই জেলাতেই সংক্রামিত হাজার পার করেছে। এই পরিস্থিতি হাসপাতালগুলিতেও বেডের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
প্রশ্ন উঠছে, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কি নতুন করে লকডাউন হবে রাজ্যে? নাকি জারি হবে নাইট কার্ফু। অতিমারি এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। গতবারের লকডাউনে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অর্থনীতি। সবচেয়ে প্রভাব পড়েছিল ব্যবসায়ী। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সঙ্গেই বিস্তারিত এই নিয়ে আলোচনা করতে চায় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বিতর্ক সেই শীতলকুচি নিয়েই! এবার দিলীপ ঘোষকে শোকজ নোটিস কমিশনের
ভোট আবহে রাজনৈতিক কর্মসূচি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অবাধ জমায়েতে লাগাম টানার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে নয়। একই পরিস্থিতি অনান্য রাজ্যগুলিতেও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল বলেছেন, “আমি লকডাউন করতে চাই না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বড় হাসপাতালগুলির সঙ্গে ভ্যাকেন্ট হল একযোগে ব্যবহার করা হবে। সাধারণ উপসর্গ আক্রান্তদের ভ্যাকেন্ট হলে ও গুরুতর রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে রাখা হবে।” রাজ্য সরকারও বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলা সরকার পরবর্তী কী পদক্ষেপ করে, তা অনেকটা নির্ভর করছে এদিনের বৈঠকেই।