কলকাতা: পথকুকুরদের খাবার খাওয়াতে গিয়ে বিপত্তি। শ্লীলতাহানির শিকার কলকাতার কলেজের এক অধ্যাপিকা। রাস্তার মধ্যেই প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও মারধরের অভিযোগ। গ্রেফতার অভিযুক্ত। চিত্পুরের উমাকান্ত লেনের ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে অধ্যাপিকা।
রবিবার বিকেলে কুকুরদের খাবার খাওয়াতে গেলে শুরু হয় ঝামেলা। এমনকি পাড়ার বাকিদের জড়ো করে বচসায় উস্কানি দেন অভিযুক্ত। গোটা বিষয়টি মোবাইলে রেকর্ড করতে গেলে ফোনও ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভিডিয়োতেই দেখতে পাওয়া যায়, বচসার মধ্যেই অধ্যাপিকাকে ধাক্কা মারছেন অভিযুক্ত।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অধ্যাপিকা দীর্ঘদিন ধরেই চিৎপুর ও উমাকান্তপুর এলাকায় পথ কুকুরদের খাবার দেন। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে তিনি খাবার দেন। রবিবারও বিকালে একই সময়ে তিনি খাবার দিতে এসেছিলেন। অভিযোগ, সে সময় এলাকারই এক বাসিন্দা ওই অধ্যাপিকার ওপর চড়াও হন। তাঁকে গালিগালাজ করতে থাকেন। এমনকি এলাকার মানুষদের জড়়ো করে অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে সরব হন বলে অভিযোগ।
ওই ব্যক্তি বিভিন্ন রকমের উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে থাকেন বলে অভিযোগ। অধ্যাপিকা তার প্রতিবাদ করলে বিষয়টি আরও জটিল হয়। ওই ব্যক্তি রীতিমতো তাঁর দিকে তেড়ে আসেন বলে অভিযোগ। গোটা বিষয়টি মোবাইলে ভিডিয়ো করছিলেন অধ্যাপিকা। সেটি দেখতে পেয়ে ওই ব্যক্তি মহিলার মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেন বলে অভিযোগ। অধ্যাপিকাকে ধাক্কা দেওয়া হয়, তাঁকে গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ।
রবিবার রাতেই চিৎপুর থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপিকা। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। তবে এই ঘটনার পর থেকে যথেষ্টই আতঙ্কে রয়েছেন অধ্যাপিকা। তিনি বলেন, “আপত্তিজনক শব্দ প্রয়োগ করেছেন। যতটা খারাপ ভাষায় কথা বলা যায়, তিনি করেছেন। ওপর থেকে নেমে এসে কথা বলেন। লোকালিটির থেকে বের করে দেবেন বলেছেন। রাস্তায় ময়লা পড়ে রয়েছে, তাতে অসুবিধা নেই। কিন্তু পথ কুকুরদের খাওয়ানো যাবে না।”
গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে চিৎপুর থানার পুলিশ। প্রয়োজনে অধ্যাপিকার সঙ্গেও পুলিশ কথা বলবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ গোয়ায় অভিষেক, ৩ দিনের সফরে নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ