Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Baguiati Murder Case: শুধুই কি ৫০ হাজার টাকার জন্য ‘খুন’? অপরাধের ব্লু-প্রিন্ট বানাতেই খরচ হয়েছিল প্রচুর

Crime news: ৫০ হাজার টাকার জন্য খুন করা হয়েছিল বলে যে তত্ত্বটি ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে, তার পাশাপাশি আরও একটি তত্ত্ব উঠে আসতে শুরু করেছে। তা হল ব্যক্তি আক্রোশ বা পুরনো কোনও আক্রোশ।

Baguiati Murder Case: শুধুই কি ৫০ হাজার টাকার জন্য ‘খুন’? অপরাধের ব্লু-প্রিন্ট বানাতেই খরচ হয়েছিল প্রচুর
বাগুইআটি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2022 | 8:28 PM

কলকাতা : হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার বাগুইআটি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাসত আদালত। এদিকে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গোয়েন্দাদের অনুমান, কেষ্টপুরের দুই কিশোরকে খুনের পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার জন্য খুন করা হয়েছিল বলে যে তত্ত্বটি ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে, তার পাশাপাশি আরও একটি তত্ত্ব উঠে আসতে শুরু করেছে। তা হল ব্যক্তি আক্রোশ বা পুরনো কোনও আক্রোশ। কারণ, যদি ৫০ হাজার টাকার জন্যই খুন হয়ে থাকে, তাহলে এত আগে থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিকল্পান কীভাবে করা হল?

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পরিকল্পনা করার জন্য এক সপ্তাহ আগে থেকে সঙ্গীদের নিয়ে মিটিং করে মূল অভিযুক্ত। সেল্ফ ড্রাইফ সংস্থার থেকে গাড়ি ভাড়া করা হয়। একটি নতুন স্মার্টফোন কেনা হয়। দুই দিন আগে থেকে সঙ্গীদের রাজারহাট এলাকায় এসে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সব মিলিয়ে এই অপরাধের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যই আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ করে ফেলেছিল সে। সেখান থেকে এই পিছনে কী কারণে ব্যক্তি আক্রোশ ছিল? সেই বিষয়টিই সত্যেন্দ্রকে জেরা করে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, এর আগে এপ্রিল মাসেও একবার খুনের ছক কষেছিল সত্যেন্দ্র। এর আগে সত্যেন্দ্র কোনওরকম অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, এই সত্যেন্দ্র বিহারের মতিহারির বাসিন্দা। গত কয়েক বছর ধরে সে জগৎপুর এলাকায় থাকা শুরু করে এবং এলাকারই একজনের সঙ্গে বিয়ে করে।

তবে, অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চূড়ান্ত পেশাদারি কায়দায় এই অপরাধ করেছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। এক্ষেত্রে একটি নতুন মোবাইল ব্যবহার করেছে সে। নতুন মোবাইল কেনা হলে বা নতুন সিম ব্যবহার করলে তা ট্র্যাক করা পুলিশের কাছে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কঠিন হয়। পাশাপাশি প্রতিটি ক্ষেত্রে সে ভিওআইপি কল বা ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে ফোন করেছে। শুধু তাই নয়, সেই ভিওআইপি কলকেও অ্যাপের মাধ্যমে মাস্ক করেছিল সে, যাতে সেগুলি সাময়িকভাবে ট্র্যাক করা না যায়।