School Education: বই ছাড়াই চলছে একাদশ-দ্বাদশের ক্লাস! শেষে কি না PDF থেকে পড়তে হবে?
School Text Books: এই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। শিক্ষক সংগঠনগুলিও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। জুটা-র সেক্রেটারি- পার্থ প্রতিম রায় বলেন, "বেশিরভাগ স্কুলই গ্রামে। সেখানে বইয়ের বদলে পিডিএফ কখনও বিকল্প হতে পারে না।"
কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষার অবস্থা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। নিয়োগ দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধীরা। তাই বলে বই ছাড়াই স্কুলে চলছে পঠন-পাঠন! একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির মতো গুরুত্বপূর্ণ সিলেবাসেও এত অবহেলা? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে? জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি জেলায় পৌঁছয়নি পাঠ্যবই। পিডিএফ ফাইল দিয়ে চলছে পড়াশোনা। তবে গ্রামাঞ্চলে কি আদৌ পিডিএফ থেকে পড়ানো সম্ভব?
নতুন শিক্ষাবর্ষে নতুন সেমেস্টার সিস্টেম চালু হয়েছে। সিলেবাসেও এসেছে বদল। ফলে নতুন বই ছাপাতে হচ্ছে। সরস্বতী প্রেসে ছাপানো হয় সেই বই। সূত্রের খবর, ভোটের জন্য বই ছাপার কাজ পিছিয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই অনেক জেলায় এখনও বই পৌঁছয়নি। তবে পড়াশোনা শুরু করার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠানো হয়েছে সিলেবাসের পিডিএফ ফাইল। বিশেষত বাংলা ও ইংরেজির বই এখনও পৌঁছয়নি অনেক জায়গায়।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, একটু অসুবিধা হয়েছে, তবে পিডিএফ দিয়ে পড়াশোনা শুরু করা হয়েছে। আপাতত কাজ চলবে। এখন প্রশ্ন হল গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায় তো ইন্টারনেট সংযোগ নেই, সেখানে কী হবে? চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “সেখানে একটু সমস্যা হবে। তবে স্মার্টফোনের ব্যবহার এখন প্রায় সর্বত্র, তাই শুরুটা করতে সমস্যা হবে না।”
এই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। শিক্ষক সংগঠনগুলিও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। জুটা-র সেক্রেটারি- পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “বেশিরভাগ স্কুলই গ্রামে। সেখানে বইয়ের বদলে পিডিএফ কখনও বিকল্প হতে পারে না।” তাই কবে সব পড়ুয়ারা বই হাতে পাবে, সেই সদুত্তর এখনও পাওয়া যাচ্ছে না।