কলকাতা: দিল্লি সফরের আগেই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সম্ভবত আগামী ২৬ জুলাই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। তার আগেই সোমবার দুপুর ১ টায় নবান্নে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। কলকাতা এবং আশেপাশে জেলার সমস্ত মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। নবান্ন সূত্রে খবর, সেদিনের বৈঠকে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যদিও ঠিক কী কারণে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে যে তৎপরতার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে, তাতে সেদিন বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ফোন করে বেশিরভাগ মন্ত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন ওই বৈঠকে হাজির থাকেন। এই বৈঠক সেরেই মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির বিমানে চেপে বসবেন বলে খবর। দিল্লি পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে মমতার। সূত্রের খবর, আগামী ২৮ জুলাই এই বৈঠক হবে। একই দিনে আবার বিরোধী দলগুলিকেও বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে তৃণমূল। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর যে জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই রাজনীতিত কারবারিদের। কিন্তু সেই সফরের আগেই এই বৈঠক ডেকে সাসপেন্স যেন কিঞ্চিৎ বৃদ্ধি করলেন মমতা নিজেই। এই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নজর থাকবে সেদিকেই।
প্রসঙ্গত, মুখ্য়মন্ত্রী শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন গত বৃহস্পতিবার। সেখানে মূলত তিনটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মমতা জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সরকার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে গৃহিণীদের অ্যাকাউন্টে মাসে ৫০০ ও ১০০০ টাকা করে পাঠানো শুরু করবে। যার জন্য ১৬ অগস্ট থেকে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি ফের একবার শুরু হবে। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি ছিল রাজ্যে ‘স্যান্ড মাইনিং পলিসি’ চালু করা। বালি মাফিয়াদের অবৈধ কারবার রুখতে সেই নীতির সূচনা করা হয়। একই সঙ্গে ‘উৎসশ্রী’ নামের একটি পোর্টাল পরিষেবা শুরুর কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। যার মাধ্যমে রাজ্যের শিক্ষকেরা বদলির আবেদন জানাতে পারবেন। আরও পড়ুন: এক্সক্লুসিভ: জেলখানার রাইটার হতে চেয়েছিলাম, হলাম লেখোয়াড়, তারপর বিধায়ক: মনোরঞ্জন ব্যাপারী