
কলকাতা: সামনের বছর ভোট। তার আগে আজ গমগম-গমগম করল ধর্মতলা। কারণ এ দিন ছিল তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। আর এই সমাবেশ থেকে দিল্লির সরকারকে উৎখাত করার ডাক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু উৎখাতই নয়, সুপ্রিমো এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি যদি কোনও কিছুর পিছনে পড়ে যান তাহলে সেখান থেকে পিছু পা হন না। পূর্বের সেই উদাহরণও তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন মমতার এই হুঙ্কার?
বেশ কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল অভিযোগ করছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে। বাঙালি বাংলা ভাষায় কথা বললে তাঁদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই ঘটনা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় হচ্ছে। যদিও সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসে বলে গিয়েছেন, “বাঙালির অস্মিতা বিজেপি-র হাতেই সুরক্ষিত।” তবে প্রধানমন্ত্রীর এই দাবিকে খণ্ডন করেছে তৃণমূল। তাদের একটাই স্ট্যান্ড পয়েন্ট কেউ যদি বাংলা ভাষার জন্য বাঙালিকে হেনস্থা করে তবে তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না।
এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘোষণা করে বলেছেন, এবার থেকে সংসদে বাংলায় কথা বলবেন। তিনি বলেন, “সংসদে এবার নিয়ম করে বাংলা বলব, দেখি কার গায়ে কত জ্বালা।” গলা কেটে নিলেও বাংলা বলবেন বলে দাবি জানান তিনি।
শুধু অভিষেক নন, আজ শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্র আদ্য-পান্ত বাংলা ভাষা ও বাঙালি অস্মিতা নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আমি পরিষ্কার বলছি বাঙালির উপর অত্যাচার হলে লড়াই দিল্লি অবধি যাবে। মনে আছে তো নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা। আমার বই পড়ুন জানতে পারবেন। আমি যার পিছনে পড়ি ছাড়ি না।” একই সঙ্গে তিনি এও জানান, ছাব্বিশের নির্বাচনের পর দিল্লির সরকার পরিবর্তনের ডাক দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০২৬ পর আমিও দেখব তোমরা কোথায় থাক। বাংলাকে বদল করতে গিয়ে, ভারত সরকারের বদল হবে না তো? আগামী দিন দিল্লিকে পরিবর্তন করতে হবে। শহিদ রক্তে তর্পণ করে বলছি তোমাদের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই থামবে না।”