
কলকাতা: বত্রিশ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, চাকরি যাবে না কারও। যাঁরা ৯ বছর ধরে চাকরি করছেন এখন চাকরি গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। হাইকোর্টের এই রায়কে নিয়েই এবার মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই রায়ে তিনি যে খুশি স্পষ্ট জানিয়েছেন।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিচারকে শ্রদ্ধা করি। হাইকোর্টের রায়কে শ্রদ্ধা করি। আমি খুশি আমার ভাই বোনদের চাকরি সুরক্ষিত করতে পেরেছি।” রায় বেরতেই সঙ্গে-সঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি লিখেছেন, “আজ মহামান্য হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অভিনন্দন জানাই। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বাতিল হয়েছে। ৩২, ০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রইল।” অন্যদিকে, আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খুবই ভাল লাগছে, এতদিন যে লড়াই হয়েছে, সেই ২০২৩ সালের এপ্রিল মে মাস থেকে ২০২৬ সালে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত, যখন চাকরি বাতিল হয়, তখন ওদের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্ট আমাকে ডিভিশন বেঞ্চে পাঠায়। আজ সত্যের জয় হল।”
কোন যুক্তিতে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ?
তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন, সেই সময় গোটা ইন্টারভিউ প্রসিডিওর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, গোটা ইন্টারভিউ পদ্ধতিতেই গলদ ছিল। সেই কারণে তিনি চাকরি বাতিল করেন।
আজ ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কোর্ট যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন পুরো বিষয়টি বিবেচনা করতে হয়েছে। এখানে প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সিবিআই-এরও। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বক্তব্য, আদালত কোনও ‘রোমিং এনকোয়ারি’ চালাতে পারে না। দ্বিতীয়ত, যাঁরা এতদিন ধরে চাকরি করছিলেন, তাঁদের পড়াশোনা করানোর ধরনের উপর কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। তৃতীয়ত, যখন এই সাক্ষাৎকার পর্ব (ইন্টারভিউ প্রসেস) চলছিল, সেই সময় যিনি পরীক্ষক ছিলেন তিনি টাকা নিয়ে অতিরিক্ত নম্বর দিয়েছেন তাঁর কোনও প্রমাণ নেই। যার ফলে গোটা সাক্ষাৎকার পর্বে যে গলদ হয়েছে সেটা একেবারে বলা যাচ্ছে না।