লালার পর বিনয় মিশ্রকেও পলাতক ঘোষণা সিবিআই আদালতের

কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের কলকাতা, পুরুলিয়া, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়ায় তল্লাশি সিবিআইয়ের।

লালার পর বিনয় মিশ্রকেও পলাতক ঘোষণা সিবিআই আদালতের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 19, 2021 | 5:02 PM

পশ্চিম বর্ধমান: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) আরও কঠোর হচ্ছে সিবিআই। পাচারচক্রের ‘কিংপিন’ অনুপ মাজি ওরফে লালাকে পলাতক ঘোষণা করার পর এবার বিনয় মিশ্রকে (Binay Mishra) পলাতক ঘোষণা করল সিবিআই আদালত। অন্যদিকে লালাকে নাগালে পেতে এবার তাঁর শ্বশুরবাড়িতে হানা দিল তদন্তকারীরা।

বৃহস্পতিবার রাতে কয়লা পাচারচক্রের মাথা অনুপ মাজি ওরফে লালার শ্বশুরবাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্যও হাতে পেয়েছে সিবিআই। তার ভিত্তিতেই আসানসোলে জয়দেব মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। অন্যদিকে পুরুলিয়ার সাতুরির বলিতোড়ায় লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গুরুপদ মাজির বাড়ি ও অফিস সমেত চার জায়গায় হানা দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে আসছে ১২৫ কেন্দ্রীয় বাহিনী

সিবিআই সূত্রে খবর, এই দুই ব্যক্তি কয়লা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ, বাম আমলে নাকি কয়লা পাচারের গোটা সাম্রাজ্য ছিল জয়দেব মণ্ডলের হাতে। বামেদের পতনে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। ২০১১ সালে কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে জয়দেবকে গ্রেফতারও করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু হাতিয়ারও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপর জামিনে মুক্ত হন জয়দেব।

অভিযোগ, পুরুলিয়ায় এখনও ভালই প্রভাব রয়েছে গুরুপদ মাজির। লালার ব্যবসায় অংশীদার হওয়ার সুবাদেই এই প্রতিপত্তি বলে মনে করেন অনেকে। কয়লা পাচারকাণ্ডে এদিন কলকাতা, পুরুলিয়া, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়ার মোট ১০ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। বাঁকুড়ার মেজিয়ার তারাপুরের এক স্টিল ফ্যাক্টরিতেও এদিন হানা দিয়েছেন গোয়েন্দারা। এই কারখানার প্রধান দফতর আবার কলকাতার লেনিন সরণিতে।